একটা মৃত্যুই মুছে দিতে পারে চির সত্যকে,
একটা মৃত্যুই ঘুচে দিতে পারে অমরত্বকে;
একটা মৃত্যুই বদলে দিতে পারে ধূর্ত ঈশ্বরকে,
একটা মৃত্যুই ধ্বংশ করতে পারে অবিনশ্বরকে।
একটা মৃত্যুর কাছে বিক্রি হতে পারে পুরো বিশ্ব,
একটা মৃত্যুর জন্য ক্ষমতাধর হতে পারে নিঃস্ব;
একটা মৃত্যুর খবরে জীবন হতে পারে উৎসর্গ,
একটা মৃত্যুর বদৌলতে নির্মাণ হতে পারে স্বর্গ।
একটা মৃত্যুই রোধ করতে পারে এই নিঃশ্বাসকে,
একটা মৃত্যুই বোধ জাগাতে পারে চির বিশ্বাসকে;
একটা মৃত্যুই নষ্ট করতে পারে সমস্ত সৌন্দর্যকে,
একটা মৃত্যুই ভাঙতে পারে প্রতিষ্ঠিত আশ্চর্যকে।
একটা মৃত্যুর ভয়ে বিশ্বযুদ্ধটাও হতে পারে রধ,
একটা মৃত্যুর সীমাবদ্ধতায় ঈশ্বর পেয়ে যায় পদ;
একটা মৃত্যুর স্বাদ অনন্তকে দিতে পারে কবর,
একটা মৃত্যুর প্রাসাদ যেন প্রাণীকুলে চির বর্বর।
একটা মৃত্যুই মিথ্যে করে দিতে পারে জন্মকে,
একটা মৃত্যুই অকাল মৃত্যু হতে পারে আচম্কে;
একটা মৃত্যুই অস্বীকার করতে পারে সত্তাকে,
একটা মৃত্যুই কেড়ে নিতে পারে প্রিয় আত্মাকে।
একটা মৃত্যুর অপেক্ষায় কতজন করে ছটফট,
একটা মৃত্যুর ভয়ে ছোটে কতজন দিতে চম্পট;
একটা মৃত্যুর নির্মমতায় কাঁদায় সহস্র-জনকে,
একটা মৃত্যুর ধাক্কা ভাঙে পাশে থাকার পণকে।
একটা মৃত্যুই পরাজিত করতে পারে দমকে,
একটা মৃত্যুই গোটা ধরাকে দিতে পারে থমকে;
একটা মৃত্যুই জীবনে সর্বোচ্চ ভয়ঙ্কর/বিভৎস,
একটা মৃত্যুই জন্ম জন্মান্তরে অনন্ত রহস্য!
রচিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২২; চাঁদ উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।