পুরোনো সেই ছবিতে এখনো যে সদ্য পাই তোমারে,
যদিও তুমি হারিয়ে গেছ ওই সাত সমুদ্রের ওপারে!
পুরোনো সেই ছবিই ফিরে দেখি বারবার নতুন করে,
যদিও তুমি এখন ছবি পাঠাও অন্যের গ্যালারি ভরে।

পুরোনো সেই মেসেজগুলো এখনো যেন সদ্য আছে,
সে মেসেজ দেখলেই আমি পাই যে তোমারে কাছে;
যদিও তুমি বিরাট ব্যস্ত এখন অন্য কারো মেসেজে,
তবুও ভাবি নোটিফিকেশন আবার যদি উঠত বেজে!

ফেসবুকের স্ট্যাটাসে এখনো যে লিখে যাই তোমায়,
কেবল সুখের বদলে সেখানে দুঃখেরাই শোভা পায়;
তবুও যেন তোমার সংস্পর্শ একটু তাতে খুঁজে পাই,
যদিও তোমার বুকের বামে আজ অন্য কারো ঠাঁই!

যে বুকের সবটা জুড়ে ছিল কেবল আমার বসবাস,
সে বুকটা অন্যের দখলে ঘুমায় কে যেন বারো-মাস;
আর আমার বুকের নিঃশ্বাসটা বন্ধ হয়েছে কতকাল,
অথচ তুমি সচল নিঃশ্বাসের তরে লিখেছ মহাকাল!

আমার অনন্ত-অসীম এ মহাজীবনের সাদা পাতায়,
ভরে ফেলেছি লিখে তোমার ওই খুব প্রিয় নামটায়;
যদিও তুমি আমার এ নামটা মুছে ফেলেছ চিরতরে,
তবুও তোমায় রাখব আমার অনন্ত স্বপ্ন-সারথি করে।

আমার নয়নের জল তুমি, এই নয়নেই রবে চিরকাল,
না পেলাম তোমারে তবুও ভালোবেসে যাব ইহকাল;
তুমি দেখবে-না জেনেও এখনো কাব্য লিখে যায় কবি,
সুখে থেক, জানি না এখন তুমি কার আকাশের ছবি!


রচিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা।