একটা সময় ছিল, তোমার মুখ দেখাই আমার একমাত্র বায়না।
তোমাকে দেখতে পেলে আর কিছুই মনে চায় না।
আর এখন আকাশ দেখতে ভালো লাগে।
কারণ, এখন আর ইচ্ছে করলেই তোমাকে দেখা যায় না।
আর আকাশ ভালো লাগার কারণ-
এই আকাশের নিচেই তুমি আছ কোথাও‌ না কোথাও।
আমি যখন আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি,
কে জানে, হয়ত তুমিও তখন তাকাও।

তোমার দৃষ্টি আর আমার দৃষ্টি এক হয়ে যায়,
কথা ছিল, চোখে চোখ রেখে কথা বলব তুমি আমি,
এখন আকাশ দেখে কথা বলি,
কে জানে, তুমিও হয়ত তাই কর।
জানো, মাঝে মধ্যে তোমার কথা আমার ভীষণ মনে পড়ে,
যতটা মনে পড়লে নিজেকে বেঁধে রাখা যায় না;
তারপর সাগর দেখি;
আর ভাবি, এত জল কোথা থেকে এল!
কেউ না কেউ তো কেঁদে এই জল ভরিয়েছে সাগরে-
তবে তার দুঃখ কত!
সেই তুলনায় আমার দুঃখ তো কিছুই নয়,
এই ভেবে চুপ হয়ে যাই,
আর তোমাকে দেখার ইচ্ছাকে গলা টিপে মেরে ফেলি।

আচ্ছা শুভ্রা, তোমারও কি এখন আকাশ দেখতে ভালো লাগে?
নাকি নতুন মানুষের মুখ?
আচ্ছা, সেও কি তোমায় আমার মতোই দেখে?
এই ধরো সকালে ঘুম ভাঙলে তোমার মুখ না দেখে ঘুম থেকে না‌ ওঠা,
আবার ঘুমানোর আগে তোমায় না দেখলে ঘুম না হওয়া!
আর মাঝে মধ্যে মন খারাপ থাকলে তোমায় দেখতে ব্যাকুল হওয়া!
হয়ত করে; কারণ...
তোমাকে ভালোবাসা সহজ, কিন্তু ভুলে থাকা দুস্কর।
এই যেমন আমি, সেই কত বছর হলো তোমায় দেখি না,
তবুও একটা দিনও ভুলে থাকতে পারি না!

প্রতিদিন ঐ আকাশকে কথা দিই,
কাল থেকে তাকে আর ভাবব না।
কিন্তু পারিটা কই? তুমি তো বিচরণ কর মনের আকাশ জুড়ে।
যেখানেই যাই, সে আকাশের নিচে কোথাও না কোথাও তুমি থাকো।
আচ্ছা শুভ্রা, তোমার মনের আকাশে কি
আমার একটুও অস্তিত্ব আছে?
সেই যে তুমি বলতে, সাত জনমেও তুমি আমাকেই চাও,
আমি যে এক জনমের বেদনায় হাঁপিয়ে উঠেছি,
অন্ততঃ বাকি ছয় জনম আমার হইও প্লিজ!


রচিত: ২২ মার্চ ২০২৪; মোহাম্মদপুর, ঢাকা -১২০৭