ভালোবাসি তোমায়, সত্যিই তোমায় বড্ড ভালোবাসি!
তবুও তুমি আমারে পাইলা না! আমিও হইলাম ব্যর্থ।
কপালটা কার পোড়া? তোমার নাকি আমার? জানি না।
তবে তোমারে প্রচণ্ড সুখে রাখতাম প্রিয়তমা,
আর আমার চাইতে বড় সুখী হইত না কেউ দুনিয়ার।
একদিন তুমি ঠিকই আমারে পাইবা,
প্রেমিক হিসেবে নয়, কাঠ পোড়া কয়লার মতো করে;
হয়ত আরো কিছুক্ষণ পোড়াইতে পারবা আপন-ছলে।
আমি তোমার আগুনে পুড়তে এসছি পৃথিবীতে,
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দাও আমায়।
বিশ্বাস করো, তোমার শূন্যতায় জ্বলছি সারাক্ষণ!
কী মায়ার বাঁধন দিলে আমায়? বড্ড একপেশে,
তোমার কিছুই হয় না আমার শূন্যতায়,
অথচ আমি পুড়ে পুড়ে বিভৎস হয়ে যাচ্ছি;
প্রকৃত ভালোবাসায় কি তবে পুড়েই যত সুখ?
একদিন তুমি ঠিকই আমারে পাইবা,
কিন্তু দেইখা আর চিনতে পারবা না;
কারণ, ততদিনে আমি জ্বলন্ত শিখা হয়ে যাব,
প্রচণ্ড আগুন বের হবে, হয়ত তুমি পুড়েও যেতে পারো,
একটু সাবধান থেক, এ আগুন তুমি সইতে পারবে না।
আমি জানি তুমি আমার জন্য জন্মেছ, আমি তোমার জন্য।
যতই দূরে যাও, কক্ষনো ভুলতে পারবে না আমায়;
যে ভালোবাসা দিয়েছি তোমায়, কেউ দিতে পারবে না।
তাই এ আগুন নিভাতে তুমি ছুটে আসবেই একদিন,
কিন্তু সেদিন বড্ড দেরি হয়ে যাবে, অনেক দেরি।
একদিন তুমি ঠিকই আমারে পাইবা,
পাইবা হয়ত লম্বা একটা বাক্সের মধ্যে সাদা কাপড়ে
মোড়ানো জমাট বাঁধা পাথুরে পুতুলের মতো করে;
যখন আর প্রেমিক হয়ে লাল গোলাপ নিয়ে
“ভালোবাসি তোমায়” বলার একটুও শক্তি থাকবে না।
রচিত: ২৭ মার্চ ২০২৪; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।