কাছে এসে তিক্ত হওয়ার চেয়ে ‌দূরে থাকা শ্রেয়,
ভালোবাসা তবু বাঁচুক;
নির্লজ্জতার চেয়ে একাই দুঃখ পোষা শ্রেষ্ঠ গুণ,
উত্তম যে জন লাজুক।

জোরপূর্বক জয়ের তৃপ্তির চেয়ে পরাজয় খাঁটি,
টান নিজেতেই আসুক;
যে জয়ের স্বাদ পরাজয় দিয়ে ঠাসা সঙ্কীর্ণ ঘর,
সে ঘরে কেউ না ফাঁসুক।

দূর থেকে ভালোবাসা যতটা সুন্দর হৃদয়গ্রাহী,
কাছ হতে ততটাই তিক্ত;
অপেক্ষার সহস্র প্রহর গোনা যতটা আনন্দের,
পেলে ততটাই নিষিক্ত।

অতৃপ্ত মনের যত তৃপ্তির সখ পুষে রাখা সুখ,
জনমে না হারাক কভু;
সখের মানুষ জীবনে বিষম না হয়ে আসুক,
এ জীবনও সুন্দর তবু।

কী লাভ নষ্ট করে সাধের আশা-ভালোবাসা!
কেন পেতেই হবে তারে?
না পাওয়ার সুখ কতটা উঁচু ত্যাগ জানো তো!
কারো থাকে জিত হারে।

হয়ত ভালোবেসেছিলে খুব করে অসীম যত্নে,
হারাতে তাই ভীষণ দুঃখ!
তব সুখেই সিদ্ধান্ত না হোক স্বার্থপরের মতো,
দুজনের সুখ হোক মুখ্য।

জীবন সে তো সীমাহীন তৃষ্ণার বীজ ভুবনে,
হারানো সামান্য বেদনা;
এক জনমের দুঃখে হাজার জনমে মরো না,
হারিয়ে সদা কেঁদো না।

জনম যাক ভালোবেসে তারে পাওয়ার স্বপ্নে,
না দেখা হোক কভু ছুঁয়ে;
ভালোবেসে যদি হৃদয় ছোঁয়া যায়, সে’ই সুখ,
প্রতিটান না যাক নুয়ে।

তুমি যারে ভালোবাসো সে কি তোমায় বাসে?
তোমার মতোই কি চায়?
নাকি একটুখানি ফারাক খুঁজে পাও কোথাও?
এ কথাও যেন ভাবায়।

আজীবন তার দুঃখ না হয়ে হও তীব্র আবেদন,
বাঁচো তার হৃদয়-গহীনে;
সখ পূর্ণ করে পাওয়ার চেয়ে দূরে থাকাই শ্রেয়,
যদি টান কমে দিনেদিনে।


রচিত: ০১ এপ্রিল ২০২৪; উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২