দুঃখেরা এখন সুখেই আছে বেশ,
আমার ঘর যেন এক দুঃখ-দেশ;
ওদের সাথে আমার এখন বেশ জমে উঠেছে,
দিনরাত খুনসুটি আর গল্পে-গল্পে সময় শেষ।

সুখেরা সব নির্মম আর স্বার্থপর,
দুঃখেরাই চেনে শুধু আপন-পর;
দুঃখদের সাথে থাকতে-থাকতে ভাব হয়েছে,
দুঃখ ছাড়া জীবন আমার এখন যেন অবান্তর।

আমি দুঃখ পেয়েও সুখী এখন,
ঠিক দুঃখের মতোই সুখী জীবন;
নাম যার দুঃখ তবু আমার কাছে সুখ পেয়েছে,
দুঃখ মম একাকীত্বের সঙ্গী, দুঃখ প্রিয় ভীষণ‌।

একদিন সুখ’কে করি আমন্ত্রণ,
সুখ আমায় উত্তরে বলল তখন:
আমার কারবার তো সব ঊর্ধ্বতন সনে চলে,
তুমি বরং দুঃখকে জানিয়ে দেখ তব নিমন্ত্রণ।

আমি নিরাশ হয়ে ফিরলাম ঘরে,
এসে দেখি দুঃখ সোফার ওপরে;
আমি যেতেই মৃদু হেসে বলল: দুঃখ করো না,
আমি তো আছি পাশে, থাকব সদা তব তরে।

সেই থেকে যে দুঃখ হলো আপন,
দুঃখই আমার স্বাচ্ছন্দ্যের ভূষণ;
দুঃখ থেকে দুঃখ বেড়ে অব পূর্ণ বাড়ি-উঠোন,
দুঃখ-দেশে অদ্য আমি থাকি ভাড়াটিয়া মতন।


রচিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪; রিয়াদ, সৌদি আরব।