টাকা হইলে নাকি সুখ হয়,
আর আমি টাকা দিয়া দুঃখ কিনি;
আমি সুখ ভেবে দর করি,
খরিদ করে সাথে লই,
বাড়ি এনে দেখি সব দুঃখ হয়ে গেছে।
সুখের লোভে দুঃখ কিনতে-কিনতে এখন
জমা হয়ে গেছে হরেক রকম দুঃখ;
সাজায়ে রাখছি ঘরে থরে-থরে।

ভাবছি এখন আমি করব দুঃখের বেসাতি,
হব দুঃখের ফেরিওয়ালা।
আমি এখন সুখের বাজারে যেতে ভয় পাই,
সুখের সাধ যে মিটে গেছে আহা!
সুখ ভেবে কেনা যত দুঃখ আছে ঘরে,
এগুলো বিকাইতে মোর লাগমে এক জনম;
এই জনমের ঐ পারে যদি আরেক জনম থাকে,
চাই না আমি, সেই জনমের দুঃখ জমুক
এই জনমের ঘরে।

ভাবছি আজ থেকেই করব দুঃখ ফেরি,
কে কিনবে দুঃখ? কেউ কি আছো?
কে শুনছো আমার কথা? সাড়া দাও না!
এই যে পাঠক, তুমি তো শুনছো...
কিনবে আমার দুঃখ? বিনিময়ে অর্থ লাগবে না।
একটুখানি সুখের বিনিময়ে
আমি অনেক দুঃখ বিকাইতে চাই।

পাঠক: “আমার কাছে যদি সুখ থাকে,
তবে কি তোমার দুঃখ পড়তে আসি?
- দুঃখের ওজন হাল্কা করতে পড়তে ভালোবাসি।”
কবি: “আমি দুঃখিত!
তুমিও যে দুঃখের ফেরিওয়ালা;
এসেছ দুঃখ বিকাইতে, দাও তবে কিছু দুঃখ মোরে।
আমার দুঃখগুলো থেকে নিঙড়িয়ে
যদি একটু সুখ বের হয়, তবে তাই দেবো বিনিময়ে।”

আমি তো হব দুঃখের ধ্বনি ব্যবসায়ী,
দুঃখের পেছনে টাকা উড়াই,
আর রাস্তাঘাটেও দুঃখ কুড়াই;
যারেই টানি আমার ঘরে, কিছু দুঃখ দিয়ে যায়,
এভাবেই দুঃখ বাড়তে-বাড়তে আজ ঘর দুঃখভূমী।
তাই সারাক্ষণ দুঃখ চুমি, দুঃখ লয়ে ঘুমি‌;
দুঃখের বেসাতি করে একদিন সফলতাকেও ছাড়িয়ে যাব,
মৃত্যুর কাছে সব দুঃখ জমা দিয়ে পৃথিবীর মায়া কাটাব।


রচিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪; রিয়াদ, সৌদি আরব।