বাঁশ ঝাড়ের ঐ ঝাপটা তলে,
কেন গো দাদী ঘোমটা দিলে?
দেখেছি রে সেই ছোট্টকালে,
যাওনি তুমি আমায় বলে!
দাদী তুমি কই?

রাখল সবাই আদর করে,
মৃত্তিকার ঐ নীড় কবরে;
সে তো আজো দেয় না সাড়া,
মন তো আমার পাগলপাড়া!
কাঁদি কবর ছুঁই।

ছোট্ট বেলার সে সব কথা,
উঠলে মনে লাগে ব্যথা।
খাবার খেতে বসতে যখন,
দাদী আমায় ডাকতে তখন!
করতাম এসেই আদি;

থাকলে আমি একটু দূরে,
‘আকাশ’ নামটি মধুর সুরে
ডাকতে আমায়: “কই গেলি ভাই?”
আজো সে ডাক শুনতে চাই!
ডাকো না কেন দাদী?


॥ রচিত: ২৯ মার্চ ২০১৫, নিজ ভবন, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ ॥