চৌদিকে হাত মেলে
দাঁড়িয়েছে পা ফেলে,
সর্বাঙ্গ নেড়ে-চেড়ে
আসবে সে যেন তেড়ে।

গম্ভীর ভাব ধরে
সুখ সদা বিলি করে,
যুগ-যুগ পেরিয়ে
আছে সে দাঁড়িয়ে;

কভু সে তো বসে না,
ক্লেশও কাছে আসে না।
সারাক্ষণ হেলে-দুলে
পবন গায়ে যায় বুলে;

কাজ কিবা খেলে-ধুলে,
এ গাছেরই ছায়া তলে;
এসে যায় বসে সবে,
ফ্লেশ ভুলে ফিরে তবে।

যেথা-সেথা ঝুলছে শিকড়,
চলছে বেড়ে নয় তা নিথর;
আর নানা পাখি এসে এথা,
আপন ভাষায় বলছে কথা-

বট তারা খেয়ে-দেয়ে,
ঠোঁটে কিছু যায় লয়ে;
কৃতজ্ঞ তাই সবে তার কাছ,
বৃক্ষের শীর্ষে এই ‘বটগাছ’।


রচিত: ২৫ জুলাই ২০১৫; নিজ ভবন, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।