ওরে স্বপ্ন-কুমারী শিরি!
তুই আমার সোনালী বিড়ি;
তোরে দিলে এক টান,
জুড়ায় মোর দেহ-প্রাণ।

বিড়ি‌ খেলে পড়ে ছাই,
তাও আমি চেটে খাই;
যদি তাতে তোরে পাই,
খেয়ে দেখি তুই নাই!

পরে খাই বিড়ির গোঁড়া,
মিলবে ভেবে মোদের জোড়া;
তাতেও না তোরে পেলে,
আরেকটি মুখে নিই জ্বেলে।

দিই জোরে শোক-টান,
দিয়ে টান গাই গান:
‘শিরিরে তোর প্রেমের ফাঁদ...
বানালো আমায় ফরহাদ’।

খাই খোসা গান শেষে,
পাব ভেবে অবশেষে;
কিন্তু তাতেও খাই ধোঁকা,
হয়ে যাই রে বড় বোকা।


রচিত: ২৫ জানুয়ারি, ২০১৫; চলতি পথ, মাঝবাড়ী-বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ