বিজয়ের স্বাদে আজ তৃপ্ত বাংলায় জাগে কত হর্ষতা!
নেপথ্যে যার কেটেছে বিদগ্ধ প্রাণের অসহ্য নির্মমতা।
সময়ের অসহনীয়তার ক্রমে ফিরে দাঁড়াবার হুংকার,
আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হলো এ বিজয়ের ঝংকার।
প্রাণে-প্রাণে বিষাদের ব্যগ্রতায় ভারি বাংলার অম্বর,
সে ব্যগ্রতাই সৃজিল একাত্তরের সেই ১৬ই ডিসেম্বর।
নয় মাসের ঐ বজ্র-তুফান কাঁপিয়ে দিল বিশ্ব-ভুবন,
গগন ফেটে আসলো বর- মুক্তি সমন, দ্বিষৎ ধাবন।
মহা শক্তি অঙ্গে বিরাজ মায়ের দোয়া সকলের তাজ,
বক্ষে বেঁধে ভালোবাসা সাজলো অস্ত্রে যোদ্ধা সাজ।
নবীন, প্রবীণ, মা, বোন, শিশু কেউ ছিল না থমকে,
রুদ্ধ করেই ছাড়লো তবে হায়েনাদের ওই দমকে।
কালো শক্তির উপড়ে শিকড় ছিনিয়েছি স্বাধিকার,
করেছি বাধ্য ফিরিয়ে দিতে আমাদের অধিকার।
এ জাতি জানে রুখতে সতত করে না শির’কে নত,
দিলাম প্রমাণ বীরের বেশেই রুখে বহিঃশক্তি যত।
পরাধীনতার শিকলে বেঁধে পারেনি রাখতে কেউ,
ছিঁড়েছে শিকল বাংলা হতে গর্জিলে উত্তাল ঢেউ।
সেই প্রতাপের মুষলধারে হলো একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ,
শত্রু শিবির নত করে শির পালাতে করেছি শ্বাস রুদ্ধ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্বের এটাই শ্রেষ্ঠ বিজয়,
বিশ্ব কাঁপানো এ সংঘাতে প্রামাণ্য বাঙালিরা দুর্জয়।
ইতিহাসের এই শ্রেষ্ঠ বিজয়ের আজো বহমান রেশ,
লাল সবুজে সক্রিয় এই স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ।
সোনার বাংলা সোনার হতে যেই বীরদের অবদান,
শোধ হবে না ঋণ তোমাদের, বিনিময় যার প্রাণ।
আজ স্বাধীনতার এই সূর্যোদয়ে যারা হয়েছ লাশ,
তোমারাই বাংলাদেশ আর আমাদের চির জয়োল্লাস।
শিখালে দেশপ্রেম কাকে বলে খুলে প্রীতির অম্বর,
শত্রুশির নামিয়ে সৃজিলে বিজয়ের ১৬ ই ডিসেম্বর।
॥ রচিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮; আপন নীড়, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ ॥