পৃথিবী তো চলছে,
চলছে সাদা-কালো আর সুর-অসুরের স্রোতে;
কবে কে দমেছে?
প্রতিহিংসার পাত্তায় ভ্রষ্টতা নিয়ে আপন ব্রতে!

আমিও দমার নয়,
কিছু হিংসুটে আমাকে দেখে জ্বলে বেগুন-তেলে;
জ্বলুক অন্তর্দাহে,
আমি হিংসুকের মহা শ্মশান রেখেছি বহ্নি জ্বেলে।

ওরা পুড়তে থাকে,
আমার চলনে-বলনে রচনে-বচনে সরলাগমনে;
আমি না করি গ্রাহ্য,
ভাবুক বলুক যার ইচ্ছে যেমনে তবু ছুটি সামনে।

কেউ আমাতে আস্থাহীন,
অগোচরে ছোঁড়ে শত তুচ্ছবুলি, —শুধু শুনে যাই;
আমি না করি প্রত্যুত্তর,
কারণ: মুখে নয়, প্রতিপক্ষকে আমি কর্মে বুঝাই।

কিছু ব্যক্তি ধূর্ত সাজে,
কিন্তু আমার সাথে হয় না কো ওদের বনিবনাত;
কারণ: ওরা কৃত্রিম,
তাই প্রকৃত’র ব্যঞ্জনায় খেয়ে হোঁচট ছাড়ে হাত।

প্রকৃত’তে অতৃপ্ত ওরা,
কেননা সাজানো মুখস্থ বিদ্যা গাদিয়েছে জ্ঞানে;
তাই নুয়ে যায় আমাতে,
জানে তা দেখে যা, তা ব্যতিত নেই কিছু ধ্যানে।

আমি লক্ষ্য করি:
কেউ ফের জ্বলে ঢের আমা সক্ষমের তিক্ত ঈর্ষায়;
ওদের বড্ড টাটায়!
আমার সফলতা কিংবা পূর্ণতায় ওরা বিঁধে বর্শায়।

আমি বোধ করি:
কেউ-কেউ আমার জন্য পুষে অন্তরে প্রতিরুদ্ধতা;
দেখে আড় দৃষ্টিতে,
ওদের আড়চোখ’ই আমার অনুপ্রেরণার শুদ্ধতা।

ওরাই আমার বন্ধু,
কারণ: সমালোচনা’ই ব্যক্তিকে করে ঢের প্রসিদ্ধ;
আমি করি উপভোগ,
ওদের মুখের পর্যালোচনায় হই যে আরো সমৃদ্ধ।

সে দিনের অপেক্ষায়:
যেদিন ওদের মুখেই বাজবে আমার প্রমোধ্বনি;
ভেবে বড্ড উচ্ছ্বাসী!
তবে করব না অমিত্র, রবে অটুট সুহৃদের বন্ধনী।

জানি, আমি বিরল,
তাই পারিপার্শ্বিকতার সনে আমার এতটা গরল!
এ আমার কৃত্রিমতা নয়,
প্রকৃতির নিবিড় সন্ধি নিভৃতে আমাতে অবিরল।

তাই শোনো হে বিদ্বেষী!
আমি তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী তুমি আমার যা হও;
নেই অভিযোগ, আক্ষেপ,
কিংবা বিতৃষ্ণার একরত্তি উদ্বেগ যত বিদ্বেষ লও।

আমি সাধি না পিছুটান,
সাধি সম্মুখপান যত দ্রোহ, অত্যয় ভিড়ুক ঘেসি;
এগোতে পাই তত প্রত্যয়,
প্রতিহিংসার যত মারো ছোবল অকর্মণ্য বিদ্বেষী।


।। রচিত: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, চলমান বাস চৌরাস্তা, গাজীপুর ।।