হৃদয়ো দুয়ারে তুমি নাড়লে প্রীতির কড়া,
শান্ত নিরব যে হৃদয়ের ছিল সুপ্ত বসুন্ধরা;
তোমার মাঝে কি’বা দর্শিল, কেনই বা প্রেম বর্ষিল?
সুপ্ততা ছেড়ে সে হৃদয় অধীর হলো ঝেড়ে সব জরা।
কেন বিধুর ডাকে, ডাকি তোমায় বাঁকে, হয়ে গূঢ় অভিলাষী;
জানি না গো প্রিয়তমা কেন যে তোমায় এতটা ভালোবাসি!
বিবেচনার কিনারে না ভিড়ল ভাবন-তরী,
কিইবা নিহিত তব প্রেম-ফাঁদে যদি পড়ি;
আমি তো ভাবিনি আগে, তোমায় ভাসাব অনুরাগে,
ভাবতে পারিনি তুমি আমায় নিবে এত আপন করি!
এ-যে স্বর্গীয় টান, হলো হৃদয়ে উত্থান, দিলে স্বর্গ হতে আসি,
তাই তো প্রিয়তমা তোমায় আমি হৃদয় নিংড়িয়ে ভালোবাসি!
অশান্ত মন বোঝাই কারে শান্ত নিরব ছেলে,
নিরব-নিভৃতে হব বিলিন তোমায় না পেলে;
সেদিন ছিল শ্রেষ্ঠ সুখময়, দিয়েছিলে যেদিন ও-হৃদয়,
সেদিন হতে যেন উড়ছি আমি আকাশে ডানা মেলে।
এই মন উচাটনে, তোমায় পাব কতক্ষণে, ভেবে হই উদাসী,
তুমি জানো না রে প্রিয়তমা তোমায় আমি কত্তটা ভালোবাসি!
রচিত: ০৮ মার্চ ২০১৭; নিজ ভবন, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।