স্মৃতিগুলো করে আর্তনাদ,
বিশ্বাসেরা ভেঙেছে রে বাঁধ;
ভাবনা’রা জীর্ণশীর্ণ আজ,
সত্যেরাও পায় বড় লাজ।
স্বপ্নেরা ওই দিয়েছে উড়াল,
আশার বুকে বিঁধেছে কুড়াল;
মিথ্যারা আজ বড়ই উজ্জ্বল,
সন্দেহগুলো করে জ্বলজ্বল।
দৃষ্টিরা আজ মরে সংকোচে,
ইচ্ছেগুলো ভুগছে অ-রোচে;
উত্তেজনা’রা হয়েছে শীতল,
পাগলামীরাও নিথর পিতল।
অভিমানেরা হলো দিশেহারা,
ক্রোধগুলো যেন বিষে ভরা;
নৈকট্যেরা ওই নিচ্ছে বিদায়,
দূরত্বেরাই কাছে পেতে চায়।
চাওয়াদের গেল পাল্টে ধরণ,
পাওয়া’রাও যে গেল বিসর্জন;
স্পর্শেরা অঙ্গে কাঁটা ফোটায়,
ভালোবাসা’রা মাটিতে লুটায়।
মধুময় সে কথারা দেয় জ্বালা,
ছলনারাও যায় পরিয়ে মালা;
হাসিগুলো ঝরায় উল্কা বৃষ্টি,
আনন্দেরও দেখি উল্টা দৃষ্টি।
চাহনি’রা লুকায় ললাট ভেদে,
অন্তরঙ্গতা আজ উঠছে কেঁদে;
আবেগগুলো দূরে বেঁধেছে নীড়।
শূন্যতা’রা হৃদয়ে করেছে ভিড়,
অনুভূতিরা যেন অমাবস্যা-রাত্রি,
আস্থা’রা যত হলো মর্গের যাত্রী;
প্রেমেরা হলো কারাগারে বন্দি,
হতাশা’রা তাড়ায় করতে সন্ধি।
কষ্টেরা এখন অতি কাছে ভিড়ে,
অশ্রুদের ঢেউ ওঠে নয়ন তীরে;
ভাগ্যেরা সব চলে উল্টো স্রোতে,
বাধ্যেরা ছোটে বাঁধন হারা ব্রতে।
প্রাপ্তিরা কেবলই ফসকে যায়,
নিস্তব্ধেরা করেছে দখল প্রায়;
মৌনতা’রা আমায় কুরে খায়,
আর্ত-বিষণ্নেরাও নিত্যে ধায়।
হৃদয়ের গতর আজ ক্ষতবিক্ষত,
যন্ত্রণা’রা শিরায় বান দিতে রত;
আমায় ডুবাল দিয়ে বিষাদ-বন্যা:
অন্তর বিধ্বংসী আর্তস্পর্শী কন্যা।
রচিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮; আপন নীড়, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।