নাতিদীর্ঘ জীবন ঘিরে, ধারয়িষ্ণ আয়ু-নীড়ে,
অক্ষুণ্ন এই প্রতিভায় মোর ক্রন্দসী জিগীষা;
অমর অভ্রের হয়ে বিহঙ্গ, দিব ঐ চন্দ্রের সঙ্গ,
লিখি তাহে নিরবধি মিটাতে সে মোর তৃষা।
আমি হব বিশ্ব-নন্দন, সবার হৃদয়ের স্পন্দন,
আমি সাহিত্যসিন্ধুর গূঢ় উদকে ফোটাব ফুল পদ্ম;
আমি হব প্রাতঃস্মরণীয়, ইতিহাসে চির বরণীয়,
আমি সুস্মিত আমি পর-হিত, চির উন্নত অনবদ্য।
আমি সাম্যবাদীর মশাল, হস্তাবদ্ধ করে প্রবল,
ইতর ভ্রষ্টাচারীর পক্ষান্তরে দৃঢ় করব রণ-সমীক;
দুর্নীতি-জুলুমবাজীর স্নান, ঘুচিয়ে বিশ্বকে দিব ত্রাণ,
পাবে না রে মোর দ্বারে ঠাঁই কোনো দুষ্কৃতি-অলীক।
আমি হব অন্যতম মানী, বাজাব কীর্তি প্রমোদধ্বনি,
আমি হব বিশ্বচেনা বিশ্বের নব কালজয়ী বীর;
আমি সাহিত্যাকাশের নক্ষত্র, হব সাব্যসাচী পাত্র,
মোর গর্জনে হবে কম্পিত চিত্ত সমগ্র নিগ্রহীর।
শ্রদ্ধেয় কৃতিত্ব সুনামী হয়ে, অনশ্চর জিজীবিষু ভূ’এ,
তাইত আমি ঘটিয়েছি হেন কলমবাজ জীবনের উত্থান;
অজস্র-কোটি মহা মূল্যবান, মুহূর্ত করেছি কবিত্বে দান,
দিদৃক্ষা শুধু সাহিত্যাকাশে মম অমূল্য জীবনের সন্ধান।
(১৪.৫ বছর বয়সে লেখা)
॥ ২৭ জুন ২০১৫, নিজ ভবন, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ ॥