আমি নারী,
তাই কি নিম্নগামী ঝর্না বারি!
আর নিপীড়িত শোষিত হবারই!
না, আমি কাঁপাতে পারি ক্রন্দসী,
যদি একবার কভু হুংকার ছাড়ি।
আমি নারী,
নয় শুধু লালসার কেন্দ্র হবারই;
নয় শুধু ভবঘাটে বাঁধা মোহ-তরী।
আমি লহরী গর্জন আমিই ভূকম্পন,
আমি বিধ্বংসী পৃথ্বী আদির বরাবরই।
আমি নারী,
তাই বলেই কি তুমি আমার তুচ্ছকারী!
আর ভেবে নিয়েছ অবলা সংকোচধারী!
না, আমি উর্দ্ধশ্বাসী, মস্ত দম রাখি চিত্তে,
শির উঁচিতে জানি আকাশ বাতাস ফাড়ি।
আমি নারী,
নয় শুধু সজ্জা সঙ্গিনী বিছানারই;
নয় তো কোনো ভোগ্য তৃষ্ণা-বারি।
আমি পূর্ণিমা চন্দ্রের উপমা মহীতে,
গায়ে কলঙ্ক দিলে হতে পারি মহামারী।
আমি নারী,
আমার পরশে বিমোহিত সাধু কি আনাড়ি;
আমাতেই খুঁজে পায় কবি ছন্দ কবিতারই।
আমি স্বর্গীয়, আমি মর্তীয়, চির ভবচারী,
আমার স্বত্বে পৃথিবীর অর্ধেক অংশীদারি।
রচিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮; গোপালগঞ্জ (লঞ্চঘাট) লেকপার্ক, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ।