তোমার আকাশে আমি ধ্রুবতারা,
অষ্ট প্রহর ধরিয়া দিই যে পাহারা;
মেঘবতী কন্যা তুমি,
মেঘ বিছানায় ঘুমি-
আমার সনে বলো কথা আমি নিরলস শুনি,
আর তোমার কথায় ঝরা মুক্তোগুলো গুনি।

তোমার বাতাসে আমি স্নিগ্ধ রাশি,
বদনে তব সিক্ত হতে ভালোবাসি;
তুমি কোমল হৃদয়ী,
অভিরাম লাস্যময়ী,
আমি সিক্ত করি তোমায় নিষিক্ত মায়া-টানে,
আর অনন্ত মায়াজালে আগলে রাখি প্রাণে।

তোমার শহরে আমি দ্যুতি-খুঁটি,
গোটা রাত্র জাগিয়া করি খুনসুটি;
দূরে ঠেলিয়া তিমির,
তোমা প্রেমে নিবিড়
জড়াইয়া থাকি করিতে প্রদীপ্ত তোমার শহর,
আর তুমি চমকিতে থাকো লয়ে প্রেম নহর।

তোমার পৃথিবীতে আমি প্রেম-সিন্ধু,
তোমা বিনা কারো নয় তা এক বিন্দু;
তুমি যেন জলপরী,
ডুবাও এ সিন্ধু ভরি,
আমি উত্তাল তরঙ্গ হয়ে তোমারে ছুঁয়ে যাই,
তুমি জনম ভরে আমার বুকে চল সাঁতরাই।

তোমার আত্মায় আমি পবিত্র দূত,
সেবি তোমায় ওহে মোর পঞ্চভূত;
তুমি সৃষ্টির স্বর্গবতী,
তুমি শাশ্বত প্রেমরতি,
তাই তোমায় করেছি আমারও স্বর্গের দেবী,
চিরকাল তোমার আত্মায় যেতে আমি সেবি।

তোমার ত্রিলোকে আমি চির অমর,
জড়াইয়া থাকি তব জঠর-কোমর;
তুমি যে কোমলমতি,
মম অনন্ত মায়াবতী,
তোমার মায়া আমায় এক মূহুর্তও না ছাড়ে,
তাই ত্রিলোকে তোমায় ধরি হৃদয়ো মাঝারে।

তোমার আঁধারে আমি চির নক্ষত্র,
ঘোচাই তমসা তব হৃদে জন্মে যত্র;
তুমি এক মেঘকন্যা,
ঝরাও যে প্রেমবন্যা,
সে বন্যায় আমি ভেসে গিয়ে ফেঁসে হই সারা,
তাই তো তোমার আকাশে আমি ধ্রুবতারা।


রচিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭