প্রতিজ্ঞার এই হাতকড়াকে
গ্রহিলাম মোর হাতে,
এমন দীক্ষা দিব শিক্ষা
দেশ গড়া যায় যাতে।

একদিন আমি জগতযামী
ফোটাব বাংলা নাম,
সেদিন এ দেশ পাবে রে বেশ
ঊর্ধ্ব কোনো দাম।

সোনার বাংলা থাকবে না রে-
শুধুই নামে সোনা,
খাঁটি সোনায় গড়ব সেদিন
বাংলার প্রতি কণা।

আমার ভায়ের রক্ত তাজা
মিশল যেই ধুলোতে,
সেই মাটিকে তিমির হতে
আনব যে আলোতে।

যেই মায়ে তার বুকের মানিক
সঁপিল বাংলা তরে,
দেখিয়ে যাব সেই মায়েরে
সোনার বাংলা গড়ে।

বাংলা চুষে খাবে বসে
যাদের এ আগ্রহ,
তাদের লক্ষ্যে গিয়ে রুখে
করব যে বিদ্রোহ।

প্রতিজ্ঞার এই তীব্র বহ্নি
নবজাতকের তরে,
জনম ভরে যাব আমি
এহেন সাধন করে।

প্রতিজ্ঞার এই কৃত্য পূরণে
ছুটল কলম রথ,
বাংলাদেশের দেখিয়ে যাব
শান্তি দ্বারের পথ।



(১৪ বছর বয়সে লেখা কবিতাটি)
॥ রচিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫; নিজ ভবন, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ॥