আকাশ বৃহৎ বলে যে দুঃখ বিষণ্নতা নেই তা নয়,
আকাশের দুঃখ দেখার মতো গভীরতা কার হয়!
নিছক মমতায় আবৃত তাই ভালোবাসা বিলাই,
আঁধার আলো খুঁজিনি তবু কে আপন কারে বা শুধাই!

আপন হওয়ার সন্ধিতেই কাঁদিয়ে যায় সবাই,
চন্দ্র কিংবা সূর্য, হৃদয়পটে দিই যারেই ঠাঁই।

বিশালতার মাঝে বিষণ্নতাও যে বেশি থাকে,
এ কথাটি বোঝার সাধ্য কার এ ধরার বাঁকে!

ভালোবাসার ছায়া দিই নিঃস্বার্থ নিছক মায়ায়,
তবু দেখি না তো কেউ আপন করেছে আমায়।

হৃদয় অবয়বে মোর উদারতার আধিক্যতা খাসা,
তাই উজাড় করেই দিই প্রতিদানহীন ভালোবাসা;
‘পাব কী বিনিময়?’ সে ভাবনা যাই সদা লঙ্ঘি,
তাই নীরব ব্যথাই আমার একান্ত হয় চির সঙ্গী।

আমার হয়ে কেউ নয় আমি সবার হয়ে রই,
আপন-আপন ভাবি কারে, আপন আমার কই!

সূর্যকে সর্বপ্রথম মায়াবন্ধনে করেছিলাম আপন,
সে’ই তো হৃদয় উর্বরে গেল করে বড় কষ্ট রোপণ।
পরে চন্দ্রকে শান্ত দেখে নিলাম হৃদয়ে গেঁথে,
সেও কি-না  সূক্ষ্ম যন্ত্রণা দিতে রইল মেতে।

নিরুৎসাহিত, তবু করিলাম আপন দিনের আলো’কে,
সে তো জানে ব্যথা দিতে চোখেরই পলকে।
নিরুপায় বড় নিঃসঙ্গ আমি তাই সঙ্গী হলো রাতের আঁধার,
সেও কি সাধু! সন্দিহানেই দেখি সে তো কষ্ট-বিলি’র পেশাদার।

এ জাহানে তবে আপন ভাবি কারে বল? হৃদয় বড় অসহায়,
জানি না আপন কারে কয়, বাঁচতে চাই যার আশায়, সে’ই দুঃখে ভাসায়!
তাহলে জীবন মানেই কি বিষণ্নতা, কষ্ট আর একাকীত্ব অনুভব!
নাকি বিষণ্নতার বাইরেও কিছু আছে! ঘটেনি আমার সাথে যেসব?



রচিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮; নিজ ভবন, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।