জীবন হলো জলরাশি নদীর মতো,
কখনো অদম্য স্রোত,
কখনো আস্রে পড়া ঢেউয়ে পাড় ভেঙে যাওয়া,
কখনো চর জাগা, কখনো শুকিয়ে খরায় পুড়ে মরা।
—আহ্ জীবন!‌ বড় বিস্ময়কর বাস্তবতা রে!

কেউ জন্মের দিনই মৃত্যুর স্বাদ পায়,
কেউ আশি বছরেও তুষ্ট হয় না।
কেউ নিশ্চিত মৃত্যু থেকে কপালজোরে বেঁচে যায়,
কেউ রঙিন সময়ে অকস্মাৎ জীবন হারায়।
—আহ্ জীবন!‌ সময় অসময় বোঝে না রে!

একটুখানি বাঁচার কাকুতি-মিনতি করে কেউ
মৃত্যুর সাথে লড়ে পাঞ্জা,
কেউ আত্মহত্যা করতে যেয়েও মরতে পারে না,
অন্যের হাতে আবার কারো বিনা দোষে হতে হয় হত্যা।
—আহ্ জীবন!‌ ন্যায্যতা জানে না রে!

কারো মরণব্যাধিতে প্রাণ যায়, কেউ মুক্তি পায় ক্ষমায়,
কেউ বছরকে-বছর মরার মতো পড়ে থাকে কোমায়।
কখনো সুস্থ মানুষ হাসপাতালে গিয়ে ফেরে লাশ হয়ে,
কারো ইসিজি-লাইন থমকে গিয়েও ফেরে জীবন লয়ে।
—আহ্ জীবন!‌ কত রকম তোমার স্বাদ রে!

কেউ না চেয়েও পেয়ে যায় অযাচিত কত কি!
কেউ শত চেয়েও একটুখানি মেলাতে হিমশিম খায়!
কেউ আবার মরতে মরতে প্রাণে বেঁচে যায়,
কেউ তো ফের বাঁচতে বাঁচতেও মরে হায়।
—আহ্ জীবন!‌ কত রকম ভেল্কি দেখায় রে!

জীবন তো জীবনই, জীবনের হয় না কোনো সংজ্ঞা;
যে শিশু মাতৃগর্ভেই মরে,
তার কাছে জীবনের মানে কী? সংজ্ঞা কী? নিরুত্তর।
তবে জীবন একটি অনুভবমাত্র! আর একটি শূন্যতা।
—আহ্ জীবন! কোনোকিছুতেই নেই পূর্ণতা!


রচিত: (তৃতীয় প্রহর) ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭