বন্ধুর চিঠি
আমরা দুজন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ি,
বিদ্যায়তনে আসি-যাই প্রতিদিন,
একদিন যদি তোকে না দেখতে পাই
কাটে না বন্ধু, কাটে না ভালো সে দিন।
আজকের যুগ, বাড়িয়েছে নাকি গতি,
খেলা-গল্পের সময় পাওয়াই ভার,
বাবা বলে, 'তোকে চাপ তো দিই না কোনো
নিজের মতোই এগোক না কেরিয়ার ' !
তৃতীয় শ্রেণিতে কেরিয়ার মানে শিখি
কেরিয়ার মানে লেখাপড়া, গাড়িঘোড়া
বানান ভুলে বা তিন চারে তেরো লিখে
অভিভাবকের শাসনের মুখে পড়া।
ওদিকে আকাশে ওড়ে না তো আর ঘুড়ি,
মাঠ নিয়ে নিল ক্লাব, কোম্পানি, দল
ক্রিকেট এখন শিখতে যেতেই হয়,
খেয়ালখুশিতে গড়ায় না ফুটবল।
আকাশ করেছি তাই সাদা পাতাটাকে,
ছোটো এক চিঠি তোকে পাঠিয়েছি লিখে
তারই উত্তর আজ হাতে পেয়ে ভাবি
হয়তো আমরা বাঁচতে গিয়েছি শিখে।
অনেকে বলছে, চিঠি আজ নাকি মৃত
অনেকের মতে গুরুত্বহীন ভাষা,
তাই শৈশবে এই চিঠি দেওয়া-নেওয়া
মনেতে জাগায় যুদ্ধজয়ের আশা।
শৈশব তার আকাশে মেলছে ডানা,
হাজার আঘাত, তবু শৈশব লড়ে-
নিজের ভাষাতে শৈশব চিঠি লেখে,
আনন্দ পায় তার উত্তর পড়ে।
( গতকাল হঠাৎ দেখতে পেলাম, আমার সন্তান তার বন্ধুর সাথে চিঠি আদানপ্রদান করেছে। এই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস শেখানোর জন্য ওর বিদ্যালয় নাকতলা হাইস্কুল প্রাইমারি সেকশনের শিক্ষিকা-শিক্ষক মহাশয়া/মহাশয়দের কৃতজ্ঞতা, নমস্কার। )