আচ্ছা, কেউ কী বলতে পারবে,
ভালোবাসা কোন ধর্মের?
ভালোবাসার জাত কী?
ভালোবাসা দেখতে কেমন?
হয়তো এই প্রশ্নোত্তর অনেকেরই বোধগম্য নয়,
কীভাবে বোধগম্য হবে, ভালোবাসাতো মুক্ত
ভালোবাসার যে কোনো ধর্ম নেই, জাত নেই, রূপ নেই।
ভালোবাসার অপর নাম ভালো রাখা, মায়া, মোহ, আকর্ষণ, আবেগ.......
যদি ভালোবাসার কোনো ধর্ম হতো,
তাহলে এক ধর্মের হয়ে অন্য ধর্মের কেউ কাউকে ভালোবাসতোনা কখনো,
কারো জন্য কারো মনে, ভালো লাগার উদয় হতোনা,
কেউ কাউকে দেখে আকর্ষিত হতোনা, ভালোবাসতোনা।
যদি ভালোবাসার কোনো জাত থাকতো,
তাহলে পুরুষের সাথে নারীর সন্ধি হতোনা,
হতোনা কারোর সাথে কারো দেখা।
যদি ভালোবাসার কোনো রূপ থাকতো,
তাহলে পৃথিবীতে এত বহুরূপী মানুষ হতোনা,
সবাই দেখতে একই রকম হতো,
কালো পরতোনা সাদার প্রেমে, আর
সাদা পরতোনা কালোর প্রমে।
তবে কেউ কাউকে ভালোবাসার পর
কেনো পূর্নতা পায়না তাদের ভালোবাসা?
কেনো প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় ধর্ম?
জাত হয়ে যায় ভিন্ন?
কেনো প্রশ্ন আসে ঐশ্বর্যের?
কেনো সমাজ তখন রুখে দাঁড়ায়, ভালোবাসার বিপক্ষে?
তবে কী তারা ভালোবাসার প্রকৃত রূপ পালটে,
তাদের মনগড়া কুসংস্কার স্থাপন করতে চায়?
তাহলে আমি মানিনা এই সমাজের উদ্ভট কুসংস্কার,
আমার কাছে একটাই ধর্ম, ভালোবাসা।
তার অন্য কোনো ধর্ম নেই, জাত নেই, রূপ নেই।