ভাবনার আকশে পূর্ণ চন্দ্র,
জমিনে জ্যোৎস্নার সাগর।
খোলা ছাদে তারি আলোয় ডুবছি,
গায়ে মাখছি, সাঁতার কাটছি।
তারা গুলো দর্শক হয়ে আকাশে দাঁড়িয়ে,
গাত্র মকরন্দ গেছে শুকিয়ে,
হাল্কা সমীরণে।
উদাসী মন ফিরেছে ঘরে,
গোলীটাও শুভ্র আজ,
গাছের উপর জোনাকির ঝাঁক,
অদূর মাঠে ঝিঁ ঝির ডাক।
এখন মনের খাঁজে,
বিরাজিত ঋতুরাজ।
অকস্মাৎ একটি মেঘ,
তার পর বিবর্ণ,
মেঘের কোলে সেই মুখ, সেই চোখ,
আবার সেই মনের উদাসী,
ভাবনার আড়ালে দাঁড়িয়ে হাসে,
অন্য গৃহের দাসী।
এ যেন ছাড়তে চাইনা আমারে,
আসটে পিসটে বেঁধেছে যাতনার ডোরে।
একটুও শান্তি নাই স্মৃতি হতে,
সুখের সময় সে বাঁধে দুঃখের লতে।
এখন ছাদে ম্লান আলো,
দর্শক বেপাত্তা,
জোনাকিরা দিচ্ছে ঘুম।
গোলিটাও আবার আঁধারে ভরেছে,
দু-চোখ নোনা জলে করছে স্নান।
ইটের তাপে গাত্র মকরন্দ সিক্ত,
স্মৃতির দাবদাহে মন রিক্ত।