একদিন কেটে যাবে যত সব যুদ্ধ-বিগ্রহের রেশ,
মা, তোমার সবুজ আঁচল তবু কভু হবে না নিঃশেষ,
তোমার কোলে মাথা রেখে দেবো পাড়ি অপার শান্তির স্বপ্নদেশ...
বলব নেই দুঃখ,নেই কষ্ট এখানেই আছি বেশ |
পার্বতী ত্রিপুরার তরঙ্গিত রূপে মুখরিত হবে এ মন,
ঝরনার কলতানে মন্ত্রমুগ্ধ হবে এ হিয়া তখন...
দালান ছাড়িয়ে চোখ হারাবে দূরে যেথায় সবুজ বন...
থাকবে অম্লান স্মৃতিপটে সেই আবেগঘন আপ্লুত ক্ষণ |
হতে পারি গজরাজ চঞ্চলাসম বজ্রকঠিন নুপুর খেলবে পায়েতে,
অথবা হয়তো এগিয়ে যাব স্লথ সরীসৃপ গতিতে,
ভাসতে পারি হাঁস হয়ে স্বচ্ছ বারিরাশির ধীর স্রোতে,
নতুবা হব আশ্রয় ক্লান্ত পথিকের কোনো এক নিশুতি রাতে |
দিতে পারি সর্পরাজের মত অমূল্য মনি ঠাঁই মোর শিয়রে,
ওগো বেদসম্রাট তোমাদের আনন্দ দানে আমায় নিয়ে যেওরে...
স্বপ্ন দোসরের খুঁজে ছুটবো দুষ্ট প্রজাপতি মধুর সৌরভে যেমন ধায়,
চাইব ভালোবাসা শুষ্ক তপ্ত গ্রীষ্ম মেঘের পলক যেমন চায় |
হোক না রামধনু অপরূপ সে তো আঁকা দূরের আকাশে,
আমার শান্তি শরতের বুকে ফোঁটা ঝাঁক- ঝাঁক শুভ্র কাশে...
জম্পুই জঠরের সুমিষ্ট কমলার স্বাদ করবো আস্বাদন,
কালের কুঠারাঘাতে বয়স ঝরলেও রবে শৈশবের চিরসবুজ মন |


(কুমারঘাট মাতৃভাষা মিশনের মুখপত্র "বুলি" লিটল ম্যাগাজিনে ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয়  কবিতাটি)