ভরদুপুরের ভরা কর্মযজ্ঞ শেষে ঘৃতাহুতি প্রদান হোক আমার এ শরীর দিয়ে,
তবু যদি তোমার বুকে লুকিয়ে রাখা ঘৃণা কিছুটা কমে |
আমার শরীর জুড়ে ছাই ভস্ম মেখে আমি হই তবে মৃত্যুপথের পথিক |
আমি পুড়ে যাই তোমার আর তোমাদের রোষানলে,
আমার মৃতদেহ পুড়ে  যাবার পর আমার মৃতদেহ দেখে তোমার দুচোখ ভরে নিও,
এরপর যদি কোনো অংশ বেঁচে থাকে আমার শরীরের বিলিয়ে দিও কোনো জানোয়ারের খাদ্য হিসাবে |
তবু তুমি থামো,
ধর্মের নামে অধর্ম  করে নিজের দাম্ভিকতার পরিচয় দিও না আর,
আমি তো থাকবো না অন্তত: নিজের কৃতকর্মের পাপ থেকে বাঁচতে দাও তাদের যারা এখনো মায়ের গর্ভে থেকে দিন গুনে এক সুস্থ পৃথিবীকে দেখার |

আমার পৃথিবী মা বড় অসহায় তোমার হিংসা দ্বেষের আতুড়ঘরে,
আমার পৃথিবী মা বড়ো লজ্জার মুখোমুখি তোমার লোভের বেলাভূমিজুড়ে,
তুমি একটিবার মুখোশ খুলে একা আয়নায় নিজের মুখটা দেখো...
ভীষণ আঁতকে উঠবে মিলিয়ে নিও,
কই তুমি তো এমন ছিলে না,
পারো না বদলে গিয়ে আবার আগের মতো ছুটে বেড়াতে সোনালী ধানক্ষেতের এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত,
একটিবার  কি পারো না মেঘের চাঁদরে, সবুজের আদরে সাজতে?
বিশ্বাস করো সাদা থানের চেয়ে নীল সালোয়ারে তোমাকে বেশী মানায়...