একটু আরামি সুখের খোঁজে তপ্ত দুপুরে ব্যালকনি জুড়ে গাঁ হেলাই দখিনী বাতাসের সন্ধানে |
কখনো বৃষ্টি হয় জল থইথই ভিজে মাটির গন্ধ ভেসে আসে পাশের অভিজাত উঠোন ধুঁয়ে |
আমার বাড়ি চার হাত জায়গা, খোলা উঠোন নেই ;
তাই উঠোনে জল জমে না, স্বপ্ন ভাসে না;
সম্পত্তি বলতে পিতৃপুরুষের ক্ষয়ে যাওয়া দেয়ালের বাড়িটা...
শুনেছি গ্রামে অনেক জায়গাজমি থাকলেও আজ অন্যের দখলিকৃত,
জেনেছি সময়ের অপব্যবহারে রাজাও কাঙাল হয়,
আর সময়ের সৎ ব্যবহারে ব্যর্থতা এলে প্রেমিকও নাকি অচেনা হয়ে যায় প্রেমিকার |
ছোটো থেকেই সম্পর্কগুলো ভীষণ জটিল ঠেকতো কলনবিদ্যার ধাঁচে |
সেই থেকে দুপুর কাটতো জানালার পাশে বিদ্যুৎহীন ঘর্মাক্ত আঁচে ...
শুয়ে শুয়ে রুগ্ন শরীর বুঝে মৃত্যুটাই জীবনের একমাত্র সত্য,
শুধু ইচ্ছা সেও আসুক কোনো দুপুরে ভীষণ আহ্লাদি ভাতঘুমের মাঝে...


("ত্রিপুরা দর্পণ" পত্রিকায় ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে কবিতাটি)