কেঁউ নয় হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান-
কোথাও নই ভেদাভেদির অবস্থান,
মানুষ একই ভূমি জল বৃক্ষ বায়ুতে স্থান-
দেখো দৃষ্টিতে চতুর্দিকে উদ্ধ নিম্নে দৃশ্য সচেতন।
কেঁউ যদি বলে মনুষ্যের ভেদ বিভেদ-
সেটা হলো তাঁর স্বার্থসিদ্ধি জন্য ভেদ,
মানুষ করেছে জাতি ধর্ম বর্ণ ভিন্ন ছেদ-
মান-হুঁশই মানুষ মানুষের জন্য পরম বিচ্ছেদ।
মানুষের কর্মই হলো শ্রেষ্ঠ ধর্ম-
ধর্ম নয় মানুষের কর্মই শ্রেষ্ঠত্ব,
সত্য ন্যায় নিষ্ঠা সৎ ভালোই মনুষ্যের মর্মই ধর্ম-
অসত্য অন্যায় অনিষ্ঠা অসৎ মন্দই হলো অধর্ম।
ধাবিছে বাতাস এপার হতে ওপার দেশ হতে দেশান্তর-
ধায়িছে পবন অন্ত হতে অন্তর দিক হতে দিগন্তর,
দিতেছে শ্বাস নিঃশ্বাস অক্সিজেন একই বৃক্ষের পত্র হতে সর্বত্রর-
নিতেছে প্রশ্বাস কার্বনডাই অক্সাইড গাছ সর্ব মনুষ্য হতে একত্রর।
চলিছে জল উচ্চ হতে নিচে সম অসম স্থান-
বায়িছে বারি উর্দ্ধ হতে নিম্নে নিম্ন হতে উর্দ্ধে শক্তির টান,
গামিছে পানি আকাশ বাতাস পাতাল ভূমি সর্বস্থান-
গাবিছে জলি তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল সর্বত্রাণ।
দৃঢ়তায় ভূমি জুড়ে আছে বিশ্বজুড়ি-
আকড়ে ধরে মাটি আছে নিম্ন উর্দ্ধ মুখি,
ভুমিতে বীজপত্র রোপন বপন করি ভূমির সাথি একত্রি-
একত্রে মানুষ বসবাস করি মাটির বুকে বক্ষ ধরি।
চকিছে সূর্যের আলো রবি চারিদিকে পৃথিবী জুড়ে-
আসিছে মানুষের জন্য পৃথ্বীতে রান্না করে সবুজ পত্রে,
উঠেছে তারা ফুটিছে নক্ষত্রের আলো মিটমিট করে নিশিতে-
জাগিছে চন্দ্র আঁধারে সাজো শশী রাত্র সাজে জ্যোৎস্না ফ্যালে।
ছেয়েছে আন্ধার কালো অন্ধকারে মিশ্রিতো-
আলো গেলেই কালোতে ছায়ো রাত্রে ঘোর ধরো,
একই আঁধারে মানুষ বসবাস করো রাত্রে থাকো-
একই আলোতে মানুষ দৃষ্টিতে দেখো সর্ব দৃশ্য পটো।
মানুষে একই ভূমির বৃক্ষের ফলন ভক্ষণ করে-
সর্বত্রে একই জল নরনারী পান করে প্রান ত্রাণে,
পৃথ্বীতে একই বায়ু মনুষ্য অর্জন বর্জন করে সর্বে-
বিশ্বে একই লাল রক্ত মাংসে গড়া মানব মানবী শরীরে।
মানুষের মতো একই ভাবে জীব প্রাণী জীবিত থাকে-
মনুষ্যের মতো কীটপতঙ্গ পশুপক্ষীরাও বেঁচে থাকে,
সরিসৃপ স্তন্যপায়ী স্থল জলচ জীব প্রাণীরাও একমতে বাঁচে-
জীবন মানেই মৃত্যু অনিবার্য হবে ভূমিতে দিন দুয়েক আগে পরে।