শান্ত কোনো পাথরের গায়-
চাইলেই কি আর লিখে ফেলা যায়,
থেমে যাও ভ্রম হবে মুছে যাবে অঙ্কিতায়-
দাঁড়িয়ে যাও হারিয়ে যাবে নিশ্চিহ্ন হবে পরিশ্রমায়,
দুয়েক দিনের চেনা হবে স্মৃতি রবে নাম লবে তোমায়-
সৃষ্টি তুমি তুমি সৃষ্টি তুমি বন্দী মুক্তি খাঁচায় পরিকায়।
তুমি যে পুস্প ফুলে ফোঁটা চির বসন্তের মণিকোঠা-
তুমি ফুল পুষ্পে ভরা অমর আকাশের রক্ত কুসুমে সূর্য্যা,
মিলিয়ে যাওয়া ঈশানে সপ্তরঙের রামধনু বার্তা-
বিলিয়ে দেওয়া বসন্ত গগনে শীতল মুক্তি সমুদ্রের মুক্তা,
তুমি হরিণ্য বনের হরিণ পলাশ ফুলের শ্বেতা-
তুমি সূর্য্যি উদা গোধূলি সন্ধ্যার প্রদীপ উদিতা।
তুমি অভয়ারণ্যের অরন্য অরিন্য-
তুমি অভয়ারণ্যের হর হরণ্য হরিণ্য,
তুমি দিবানিশির দিনরাত্রি গোধূলি সন্ধ্যান্য-
তুমি ভোর সকাল দুপুর সন্ধ্যার পক্ষ পক্ষীর কলরব্য,
তুমি পুষ্প পুষ্পি রবি শশী গ্রহ নক্ষত্র তারার সান্নিধ্যে মন মালিন্য,
তুমি প্রকৃতির সৌন্দর্য অনুরূপ অনুরূপি দেব দেবীর আরাধ্য।
চাইলেই কি আর লিখে ফেলা যায়-
তোমাকে কী আর মনুষ্যে মানায়,
তোমার যে বদন ভাষার বাইরে ঠাঁই-
তুমি যে সৃষ্টি সৃজনশীল রক্ষীতায়,
তুমি যে সৃষ্টির চয় বর্ণহীন বিশ্বমায়-
সৃষ্টি তুমি সৃষ্টির মাঝে আমি তোমাতে বায়।
তুমি সৃষ্টি তুমি কৃত্তী তুমি নাশী তুমি রক্ষার্থী-
তুমি রক্ষতি তুমি ভক্ষতি তুমি কৃপাময়ী,
তুমি ধ্বংসাতি ধ্বংসের স্তূপ তুমি করুনাময়ী-
তুমি কৃপা কৃপাতী তুমি চলন গমন স্থির রূপধারী,
তুমি সৃজনময়ী তুমি ঊখান পতনের রুপচারী-
সৃষ্টি তুমি রক্ষন রক্ষনাবেক্ষণ তুমি বিশ্বমন্ডল ভবতি।
তুমি কলরব কলরবি তুমি বংশের প্রতীকি-
তুমি বংশ পরম্পরায়ি তুমি বংশ ধারী,
তুমি বংশের প্রদীপ তুমি অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ গতি-
তুমি বিধান তুমি অগ্নিশিখা আলো আঁধার জ্যোতি,
তুমি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে নিঃস্বার্থ ময়ী-
তুমি রক্ষক যখন ভক্ষক তখন বিদ্রোহী দেশদ্রোহীর প্রতিবাদী।
তুমি ভূমি তুমি মাটি তুমি ভুমির খাঁটি-
তুমি জীবন তুমি বরন তুমি পশুপক্ষীর শক্ত ঘাঁটি,
তুমি ধারন প্রতিফলন তুমি মনুষ্যের প্রতিবর্ত বিধি চাবিকাঠি-
সৃষ্টি তুমি, তুমি সৃষ্টি সৃজনশীলতার প্রতিবর্তন পরিবাটি।
তুমি রক্ষক রক্ষকী-
সৃষ্টি তুমি তুমি সৃষ্টি,
তুমি বিধান তুমি বিধি-
তুমি গতি তুমি নাশী,
তুমি নর তুমি নারী -
সৃষ্টি তুমি মনুষ্য মানুষী।