আজও আছি পথচেয়ে তোমায়-
কবে আসবে তুমি হেথায়,
চাহিয়া পথ হয়েছে পাসনায়-
পাসানের পথ ভুলা বড় দায়,
অপেক্ষায় পথ কেঁদে ভাসায়-
অশ্রুপাতে প্রতিক্ষার পথ বাড়ায়,
অশ্রু নদের রক্তি শান্তি অসহায়-
তবু রক্ত বারি মোহনায় মেশেনায়।
বড়ো প্রতিক্ষায় আমি তোমায়-
কি করে বোঝায় তোমায় রক্তিমায়,
বুক চিরে রেখেছি দেখেছি তোমায়-
তুমি আছো মোরে বক্ষ মাঝারে হিমায়।
তুমি আছো পৃথ্বী ভূমন্ডল বিশ্বের কোনায় কোনায়-
আমি আছি তোমার রেখায় পদচারণ চাওয়ায়,
তোমার সৃষ্টি আমার কীর্তি একত্রেচয় বিকশিতায়-
তুমি বিনা আমার কোনো মূল্য অমূল্য পৃথ্বীতে নাই।
তুমি হাসো মনুষ্যকে নিয়ে মানুষের মাঝে-
আমি কাঁদি জগৎ বিরহীদুঃখে তোমাকে নিয়ে,
তোমার চরণধূলি কলঙ্কের বোঝি রাখি বক্ষে-
শিরেয় তুলি মাথায় রাখি অপেক্ষার দিশারীকে।
ভাসিয়াছো তুমি কতো মানুষে মানুষকে সুখদুঃখে-
বোঝোনি তবু আমার পীড়ন জ্বালা তুষের আগুনে,
বুক ফাটে ফোটেনা মুখ আমার তোমার পানে চেয়ে-
অঙ্গে দেহে পুরুষ আমি অন্তোরে হৃদয় মনে নারীত্বে।
ঘুরিছো টাকার পিছনে তুমি চাকা ঘুরিবে যখনি-
মান-হুঁশ হলে মানুষ হতে তুমি বুঝবে তখনি,
মান-হুঁশের মতো মানুষ হলে মানুষ ভোলে কি-
মানুষ মানুষের জন্যে কর্মই মানুষের ধর্মান্তী।
আজও আছি আমি তোমার সৃষ্টির মতো চেয়ে-
বিকশিত মৃদুতে পাওয়া না পাওয়া অপেক্ষার অবসানে,
তোমার অবদান কি ভুলতে পারি আমি তোমাকে-
মরণ আমরণ থাকবো আমি প্রতিক্ষার অবসানে।