হে পথিক খুঁজিছো কারে পাইবে কি তাঁরে পৃথ্বীর মাঝারে-
তোমাতে আছে সুপ্ত মহা-মানব সে বিশ্বমানবে,
ঘনিছে মেঘ দিগ দিগন্তে চতুর ঈশান পথে-
তাঁর মাঝে গুপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ ধনু বৃষ্টি শিলাতে।
দেখিছো যারা পৃথিবীতে সর্ব মানব-
সাজিতে তাঁরা স্বার্থসিদ্ধি-রূপ দাণব,
ফুটিছে ফুল পুষ্প চয়নে গমো পবিত্র তলব-
তৎপর সূক্ষ্ম সুপ্ত গোপনে অন্তবাহিরে অপবিত্র বিষব।
উদয় আলো ছায়া কালো অন্ধালো পরস্পরো-
অস্ত বারি অগ্নির স্ফুলিঙ্গ তাপে ইস্ফূতো,
বাহিত পবনো বাঁধা নিরবাঁধা আহতো নিহতো;
ভূমিতে চাহো উদ্ভিদ প্রাণী জীব জরো-
শুন্য জ্ঞানে পূর্ণ জ্ঞানো।
গীতা কাব্য পুরান কুরান বাইবেল আনিছে মানবে-
বৃথা খুঁজিছো শূন্য ঈশানে বায়ুভরা ভারসাম্য আঁকাশে,
ভাসিছে গ্রহ উপগ্রহ নক্ষত্র তারা চন্দ্র সূর্য নিজস্ব পারস্পরিক টানে-
ঘুরিছে পৃথ্বী সূর্য্যির চতুরী সময়ানুক্রমিক স্বয়ং পানে।
জাগিছে রজনী প্রভাতের আলো নবীন সপ্ত দৃঢ় বর্ণ-
দৃষ্টি লক্ষ্য আকাঙ্ক্ষা সাহস বীর প্রবীন অসীম দৃঢ়তায় শির,
জাগ্রত মনুষ্য দিব্য জ্ঞান সম্পন্ন- কাণ্ডজ্ঞানহীনো-
জাগ্রত নিরমনুষ্য ভন্ড নিভন্ড সম্পূর্ণ অসম্পূর্ণ জ্ঞানে মনুষ্যত্ব।
কারে দিতেছো গালি করিছো অবহেলা দ্বন্দ্ব হিংসা ঘৃণতি-
কে জানে কি আছে তাঁর মতি মহৎ সাগর সমুদ্র মহতি,
যাহা নাই তোমাতে তাহা আছে অন্যতে অজ্ঞাতে জ্ঞাতি-
যাহা আছে তোমাতে তাহা নাই অন্যতে জ্ঞাতে অজ্ঞাতি।
যা কিছু নিয়াছো দেখিয়াছো পৃথ্বীর প্রাপ্য-
যাহা কিছু দিয়াছো রাখিয়াছো পৃথিবীর পার্থিব,
যা কিছু শিখিয়াছো শিখাইয়াছো ধরার হতে অর্জিত-
যাহা কিছু অতীত বর্ত ভবিষ্যতো ধরায় লীন বর্জিত।
কারে মারিছো তুমি কি আছে তাঁরে মহৎ দুর্লভি জানো কী?
হতে পারে এক নর-নারী ক্ষুদ্র তুচ্ছ অতুচ্ছ বৃহৎ দেশ দেশান্তরী,
ফুটিছে ফুল বাগিচায় পুষ্পমুকুল সহায় অসহায় পতিত ভূমি-
কোথায় কারে সোপিতে নাড়ে কেঁউ কী বলতে পারে নাকি অন্তর্যামী।
মানব শিশু জন্ম হতেই পথিক ভবিষ্যতের গৌরব-
যেমন শিখবে পড়বে তেমন নবজন্ম গড়বে সৌরব,
ভালোমন্দো সৎঅসৎ সত্যমিথ্যা সবই পরমপর মৌরব-
সর্বই পরস্পর প্রজন্ম পৃথিবীর নক্ষত্রের আলো ভৌরব।