লাল মাটির পাহাড়ে-
পলাশ ফুলে বাহারে,
সোহাগীর মর্মে চাহারে।
মনের মানুষ পাহাড়ে-
সখী কাঁদে পরাণে,
পলাশ বনে আহারে।

মনের মানুষ খুঁজে -নে-
পলাশ ফুলের গন্ধে,
মনের লাগুর খুঁজে -লে-
মহুয়া গাছের ফুলে,
ডরায় গেলে আর পাবিনাই -রে,-
হারায় গেলে আর পাবিনাই -রে।

নাগুর আর নাগুরী-
পলাশ বনের ফাল্গুনী,
হারায় গেলি আর পাবিনে -রে-
পালাই গেলে আর পাবেকনাই -রে,
মনের মানুষ খুঁজে -নে-
মনের ডহারে।

লাল পাহাড়ি দেশে-
বাবুই পাখির বনে,
হারাই ছেনাই -রে।
পাইলে তাঁরে গুঁজে -লে-
মনের ডহারে,
পালাই গেলে আর পাবিনাই -রে।

শাল বনের ভূষণে-
কদম বেলের গন্ধে,
পেরান জুড়ায় -ছে।
শ্যামলা নদের ধাঁরে-
প্রেমের ড্যারা বসেছে,
ভালোবাসার মনো মালিনে।

আলো আঁচে চিকন ফাঁকে-
ময়ূর নাচে পেখম তুলে,
ময়ূরী আঁকে মনের গহীনে।
নদীর বাঁকে কিরণ হাঁকে-
পঙ্খি ম্যালে নদের পাড়ে,
শ্যামলা শাল বনেতে,-
বড়াই ছেনাই -রে।

দিনের শেষে ঘর বাঁধে-
লাল মাটির পাহাড়ে,
খোঁপায় গোঁজে মরমে-
শাল পাখির বনেতে।
সোহাগ মরে সোহাগে-
পলাশ ফুলে পাহাড়ে,
মনের মানুষ খুঁজে লে-
সমাজ চলে মানুষে।

লাল মাটির পাহাড়ে-
প্রেম কাঁদে বাহারে,
শাল পলাশ বনেতে।
মনের মানুষ পাহাড়ে-
সখী কাঁদে পরানে,
মহুয়া ফুলে আহারে।