কি আছে দেখিই না ভিতরে
মানুষ মানুষে চলেছে  ষড়যন্ত্রে-
মানুষে মানুষ চলছে গুপ্ত চরে
সতর্ক কি আছে ভবিতব্যে,
যুগ পৃথ্বী আছে তাদের মতে
শুধু সমাজ বদলায় মানুষের জন্যে।
কি আছে দেখিই না মধ্যে
স্বার্থে ভরেছে মানুষ আদর্শ লুপ্তে-
নিঃস্বার্থ ভুলেছে মানুষ স্বার্থসিদ্ধি বিলুপ্তে
আজও ধোঁকে মান-হুঁশ একাকিত্বে,
সত্যকে চোখা দেয় সত্যের মোহে
মিথ্যাকে আড়াল করে পাল্টাই লোভে।

কি আছে দেখিই না গভীরে
ছেয়ে গ্যাছে সমাজে হচ্ছে মানুষ লোভিতে-
মানুষ বড়ই অদ্ভুত চতুর চাতুরে
পটুক বলে পাগল-হুঁশ বলে মানুষে,
মান-হুঁশ আছে সকল মানুষের হৃদে
শুধু হ্যালার কবলে মান-হুঁশ ধিক নিদে।
কি আছে দেখিই না আবডালে
সত্য মিথ্যার মাঝে নারাজ করে-
শুধু স্বার্থে নিয়োগ করে মান-হুঁশে
কেবলমাত্র স্বয়ংনে প্রয়োগ করে মানুষে,
নারাজে উঁকি মারে মানুষ প্রয়াসে
নারাজিতে বাজীমারে গদিধরে আঁশে।

কি আছে দেখিই না আড়ালে
মনস্তত্ত্ব বিবেক চেতনা চৈতন্য নেশিতে-
বিদ্যাই শিক্ষা হাঁকে- শিক্ষাই বিদ্যা হাঁকে
সবকিছু চুরিতে মানুষ মুনাফার ত্বরে,
তাঁকায় না পশ্চাৎ-এ ভবিষ্যের বীনে
অতীত বর্তমান ছাড়াই মানুষ হবে ভাবে।
কি আছে দেখিই না গোপনে
বন্ধ জানলা কড়ার পিছনে ফান পাতে-
রক্ত মাংসাশী ভোগীরা আছে মাঝে
সচেতন রত্ত গুড়িয়ে দাও লুকতারে,
সতর্ক হও নষ্ম করো পৃথ্বী হতে
নিখিল থেকে বিদায় দাও দেশ দ্রোহীকে।

দেখিনা কি আছে গহীনে
শিক্ষা করে বদ্ঝ-ঘরে বাঁধা বইয়ে-
অন্ধকারে দেশ দেখায় অন্ধকার ঘরে
শিক্ষা দেয় দীক্ষা নেয় অন্ধ-বিশ্বাসে,
দ্রোহীরা চরে বেড়ায় দেশের মাঝে
দোষীরা ঘুরে বেড়ায় দশের মধ্যে।
কি আছে দেখিই না অন্দোরে
ফন্দী আঁকে ফাঁদ পাতে ভান কোরে-
ফান পাতে দশের সম্মুখে আড়াল হীনে
মিথ্যা বলে শতের মধ্যে সত্যকে লুক্তে,
সত্যকে লুকান্তো করে মিথ্যার ছ্বলে
সত্যকে কি লুকানো যায় মিথ্যার শিক্ষাতে।

দেখিই না কি আছে নারাজে
রাজিতে সহি আছি পাগল হুঁশে-
শিক্ষা দেয় বদ্ঝ ঘরের অন্ধকারে
জ্ঞান দেয় কাড়া জানলা রুদ্ধ কোরে,
ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও সেই জনেরে
বন্ধ করা জানলা দড়জা তালা হাকেরে।
আমি না হয় আছি পাগল-হুঁশ নেশে
দেখিতে চাই আমি তাহাতে তোমাতে-
কি আছে লুকানোর মাঝারে
যতো আছে ততো চাই নাশকতাতে,
দেখাতে চাই স্বয়ং সম্মুখে মানুষে
পারি না-পারি দৃষ্টতে পাগল হুঁশে।

দেখি হায় প্রজন্মের নব নবীরা কী চায়
অতীত বর্তমানেই নির্ভর ভবিষ্যৎ চাই-
ভালোবাসার প্রদীপ নিভে যায়
দীপ্ত দিন অন্ধকারে ডুবে যায়,
দিশার শিখা আঁধারে হারিয়ে যায়
মনুষ্যত্বের দীপ ধীরে ধীরে তলিয়ে যায়।
জলন্ত মন দিকে দিকে মৃত প্রায়
প্রজ্বলিত বিবেকত্ব এরিয়েছে কোথায়-
দিচ্ছে কি মানুষ মান-হুঁশের বালায়
মান সম্মান ঘনিয়েছে নির্লজ্জতায়,
নগ্নে মত্ত মানুষ বিচিত্র লগ্নতায়
নব প্রজন্মের জাতক জাতিকা মাতিছে কায়।

সময় চলে সর্বদা সময়ের মতে সর্বক্ষণে
সময় কখনো থাকে না বসে মানুষের জন্যে-
সময়কে যায় না দ্যাখা জীবন্ত কালে
সময় মানুষকে দেখিয়ে দ্যায় মনুষ্য জীবনে,
তবু রপ্ত মানুষ অন্ধ উঁকিতে রত্ব করে
ব্যাস্ত মানুষ মানুষে সমাপ্তি হবে সমাপ্তে।
রক্ত মাংসাশী পিপাসিত মানুষ ঘনিছে
নাশে উদ্বিগ্ন পিপাসু লোলুপ মানুষ নেতৃত্বে-
স্বাধীন দেশে মানুষ পরাধীনতা নাহি চায় দেশে
স্বাধীন দেশে পরাধীনতা ডাকে মানুষ নাশগতাতে,
এখনো সময় আছে সাবধান অবলম্বন করো সতর্কে
নারাজে ভুলের মাশুল দিতে হবে অগুন্তি মান-হুঁশে।