হে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলিতে
দেখিয়েছো তুমি তোমার মনের পাহাড়ে-
বলিয়াছো দেশকে ভালোবেসে
রাখিয়াছো মানুষকে আগলে,
গাহিছো গান তুমি দেশের জন্যে রক্ত ঝোরে
কাঁদিছো প্রাণ ভূমি মানুষের জন্যে জীবন দিয়ে।
ধনধান্য পুষ্পে ভরা আমাদেরই বসুন্ধরা
সোনায় ফলা সবুজ শষ্য শ্যামলা-
কোথাও গেলে পাবে নাকো তুমি
সে যে আমার জন্মভূমি
সে যে আমার মাতৃভূমি,
মানুষকে রাখিয়াছো তুমি বাঙালি করে
দেশকে মানুষকে ভালোবেসে পৃথ্বীর ত্বরে।

দ্যাখাওনি তোমার কষ্ট ব্যাথা যন্ত্রণা মনের পাহাড়ে
দেওনি বুঝতে লোকে লুকিয়ে রেখেছো মনের বাহারে-
কতো আগুন ঝরা কান্না ঝরে লুকে
রেখেছো বহ্নি ছাই চেপে আপন রুখে,
দেখিতে পারিনি অগ্নি তোমার স্বয়ং চক্ষু থাকিতে
ভেঙেছে মূর্তি স্তূপি তোমার গীতাঞ্জলি বাংলাদেশে।
যে দেবদেবী ভগবান বিধি বিধাতাকে
প্রভুকে বিশ্বাস করিতে লুকে ছিলো তোমার হৃদে-
তাঁরে ভাঙ্গিছে বাংলাদেশের লোকে
মন্দির গুড়িয়েছে পুড়িয়েছে মনুষ্যে,
বিবেক বোধ চেতনা চৈতন্য মানুষিক মনুষ্যত্ব কেমোনে
আছে বলে মনে হয় না ক্ষমা করো রবী বাংলাদেশীকে।

যে দেশে তোমার মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করে
সেই দেশেই তোমার মান সম্মান রাখিলো-না বাংলাদেশে-
যে দেশে তোমার মাতৃভূমি ভারত পশ্চিম বঙ্গতে
সে দেশে তোমার জন্মভূমি ভারতবর্ষ বাংলাতে,
তুমি কবি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্ব দেশে
বিশ্ব প্রণাম করে তোমারে গীতাঞ্জলি ক্ষমা কোরো রাঢ় বাংলাকে।
যে দেশে তোমার মুখে বদনে সেলুটাপ ব্লাকটেপ মারে
সে দেশে গীতাঞ্জলির মাঝে দিয়েছে খিলা পেরেক মেরে-
সেই দেশের বদনে তোমার ভাষা গান না করে
সে দেশের মনুষ্যে তোমার কথা বাক্ রুদ্ধ রাখে,
রাঢ় দেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা একদিন বন্ধ হবে সময় দেখাবে
তবু ক্ষমা করো রবী তুমি বাংলাদেশের সর্ব মানুষকে।

যে দেশে তোমার মূর্তি স্তূপ প্রভুকে পুড়িয়েছে ভেঙেছে
সেই দেশে তোমার নাম গান কথা লেখা না বলে লেখে পড়ে-
তুমি আছো আছে রাঙা মেঘের আড়ালে
নীল ঈশানের মাঝে রাঙা আলো হয়ে,
প্রভাতে জাগো তুমি রবি হয়ে প্রকৃতির বিচিত্র রুপে সাজে
নিখিল শশী তারা গ্রহ হয়ে বিভিন্ন অনুরুপে আদলে মধ্যে।
ক্ষমা কোরো রবী বঙ্গদেশের মানুষকে বাংলাকে
জাগিয়াছো তুমি দিবানিশি দেশের হেতু মানুষের অন্তে-
জগৎ হয়ে মাতিছো তুমি সর্বস্বতে
পৃথ্বী হয়ে গাবিছো মনুষ্য লোয়ে,
দেশকে ভালোবেসেছো তুমি লোকারণ্যে আপনে
আপোষে মানিয়ে নিয়েছো সুখ দুঃখকে হাসিতে।

ফুটিয়াছো কতো ফুল তুমি মনের পাহাড়ে
ঝরিতে দাওনি তবু চিত্র বিচিত্র পুষ্প হরেক বাহারে-
রখিছো সুখ দুঃখের ফুল মনের গভীরে
দেখিতে দেওনি কখনো মানুষকে,
বুঝতে দ্যায়নি তোমার ব্যাথা কাঁটার সে যন্ত্রণা কবলে
হাসিমুখে নীরব হলে দুঃখ কষ্ট পেয়ে একাকিত্বে কেবোলে।
বুঝবেনা তোমার সে কথা কেঁউ কোনো যন্ত্রণাতে
হাসিমুখে বদনে রেখে গেলে অকথ্য বুলিতে-
যদি পারো ক্ষমা করো মনুষ্যকে
প্রণাম নিয়ো তুমি ভারতবাসী হতে,
ভুল হলে ক্ষমা কোরো জীবন রহিতে
অবুঝ রাঢ় বাংলা মানুষকে মাপ করো মনের পাহাড়ে।