প্রায় কতো শতো বর্ষ পূর্বে ইতিহাস নিয়ে,-
সাম্যবাদের সাম্রাজ্য তত্ত্ব বার্তা ছকে এঁকে।
বিদ্যার জ্ঞান দেখেছে অনেক চিন্তে ভেবে,-
ঠিক বিশ্বময় একদিন সমাজতন্ত্র উদয় হবে।
যদি ন্যায় বিভাগ শাসন নেয় কেড়ে,-
প্রজাতন্ত্রেও সবদিকী স্বৈরচারী উদয় হবে।

শাসকেরা আগমণীকে সামনে নিয়ে,-
আগাম আগামী অস্তিত্বের বীজ বোনে।
গণতন্ত্র প্রজারা চলন গমন করে,-
ঐতিহাসিক আগামীকে স্মরণ রেখে।
যন্ত্রণার অঝোর বৃষ্টিতে আমার যতো ব্যাথা লাগে,-
স্বস্তিপেতে পরিশেষে স্রষ্টার ছোঁয়া আভাস জাগে।

শাসক ক্ষমতায় করছে স্বয়ং স্বেচ্ছায় রাজ,-
মানুষের সারতত্ত্ব হচ্ছে আজ নিভু নিভু সাজ।
গণতন্ত্র সৈরচারীরা পেয়েছে স্বার্থ নিঃস্বার্থ বাণীর আভাস,-
শাসক বুদ্ধিজীবীরা যেন হাঁকে আজ নিজ নিজ সর্বনাশ।
নিজেকে পুড়িয়ে ধূপের মতো সুবাস ছড়ালে বৃষে মিষ্টে,-
একে একে সব সৃষ্টির যতো বিষাক্ত মিষ্টায় পুষ্প ফুল ফোটালে।

যে দিকেই তাকাই সৃষ্টির আঁচ পাই-
মানুষ করেছে সমাজকে স্বেচ্ছায় পরিচর্চায়,
ভালো মন্দ ন্যায় অন্যায় সৎ অসৎ ভরপুরী পরিক্রমায়।
যেন পুনঃ পুনরায় আখরে অদৃষ্ট দৃষ্ট হতে চাই-
স্বৈতন্ত্ররা ত্রাসে গ্রাস করতে চায় সব স্বেচ্ছায়,
শত্রুকে দমন করে দেশদ্রোহী হয়ে বাহুবল বুদ্ধিতায়।

হাতে ডঙ্কা সাইরেন বাঁজে কড়ে ভ্যারা পিটায় দেশে-
সংবাদ হানে বন্ধকরো রণক্ষেত্র রক্তের পাঞ্জা জীবন নাশে,
শান্ত মনে মনটাকে শক্ত করো জীবনে বাঁচো আদলে।
স্বরূপে চলো অনুরূপে ধারণ করো একান্তে আপষে-
রুদ্রক্ষেত্র মানুষের তুষ্ট নহে ভূমিই মনুষ্য জীবনে,
ত্রাণে প্রাণ পাহে প্রাণে জীবন বাঁচে চলন গমনে।

রক্ষক যখন ভক্ষক অন্ধকারে রাজত্ব করে-
শাসক তখন মোক্ষক বুঝেও না বুঝার ভান করে,
দিব্য জ্ঞান সম্পূর্ণ কান্ডজ্ঞানহীনে অভিযানে মাতে শাসকে।
দলদাস হয়ে কার্য করে মুখ্য মূর্খ বিরাজে রাজ্যে দেশে-
স্বার্থ সিদ্ধিতে চলে শাসক রক্ষকে দেশ চুলোয় যাগকে অপরের হাতে,
নিঃস্বার্থ ভরকরে তোমাতে জলন্ত স্বাধীন পরাধীন রক্ষার্থে।

তোমাতেই আছে বিদ্যা শিক্ষাই মহাবিদ্যা-
করোনা পাকে মনুষ্যের জীবনকে মূল্যায়নে দীক্ষা,
জ্ঞান বিদ্যা হায় মানুষের চয় ফলে বিফলে যায় শিক্ষা।
করেছো বাহাদুরী আবাস ভুবনে ভঙ্গুর যাবে তলা-
দুর্ভাগা যেদিকেই তাকাই সাগর সমুদ্র সেদিকেই শুকাই উচ্চারণা,
নিয়তির খেলা খেলোনা দাড়িয়ে যাও থেমে যাও যাবে মূর্ছা জ্বলন্ত শিখা।

অতীতে দেশে ভিনদেশী এসে করেছে স্বরাজ ভক্ষক শোষণ-
নির্যাতন অত্যাচার অনাচার অবিচার স্বেচ্ছায় বিরাজ তোষণ,
তখন মনুষ্য সব মুক্তির তাগিদে দিয়েছে জীবন নাশে প্রতিবাদ গমন।
বর্তমানে দেশে নিজ দেশেই নিজে করিছে দেশদ্রোহীর মতন-
পরাধীনতার দেশে স্বাধীনের তরে দিয়েছে কতো প্রান জীবন,
স্বাধীন দেশে পরাধীনতা হানে পরিত্রাণে ত্রাণ ভবিষ্যতে জ্ঞাপন।

স্বাধীন দেশে স্বাধীনতা চাই পরাধীনতা নয়-
মৃত্যুর স্তূপ নয় রক্তাক্তের করো বড়াই শান্তির চয়,
অশান্তি নয় সময় ক্ষনিকে দাড়ায় জীবন ঘূর্ণয়।
বিপদ যখন সম্মুখে আসে স্মরণ তখন পশ্চাতে থাকে সর্বদয়-
এখনও সময় আছে অতীত বর্তমান দেখে ভবিষ্যৎ শেখে সর্বসময়,
জাতি ধর্ম বর্ণ উচ্চ নিম্ন নির্বিশেষে ভেদাভেদ স্বার্থ ভুলে এসো নিঃস্বার্থে বায় সর্বময়।