চলতে চলতে জীবনের পথে-
পরিছে পা ফাঁদের পদে,
চায়না কোনো মৌন মানুষের মর্তে-
আঁকা বাঁকা গর্তে ভরা শর্তে।
চারিদিকে ভরা স্বার্থসিদ্ধির দিশে-
ভন্ড ভন্ডামি-তে লিপ্ত সর্ব পৃথ্বী-তে,
নিঃস্বার্থ আছে বলে মনে হয় না বিবেকে-
চেষ্টা করে না কেউ দেশকে বাঁচাতে।
সকলে আছে স্বয়ং স্বার্থসিদ্ধি নিয়ে-
নকলে মেতে মত্ত আসল-কে ভুলে সর্বে,
অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ নিয়ে মানব চলে-
নিজেকে সে কথা কি কেঁউ মানে সর্বত্র জুড়ে।
যেদিকেই করছি মানুষের লক্ষ্য-
চতুর্দিকে দেখছি চোরেরা অসংখ্য,
ওদের নানা কান্ডের অগুন্তি ভান্ড-
বৃথা চেষ্টা ওদের সমাজের দৃষ্টে ফাল্তো।
দেখিছে-না কেউ কারোর ত্রুটো-
সকলে হাঁটিছে নিজে উল্টো,
মনুষ্য জ্ঞাতে অজ্ঞাত অজ্ঞাতে জ্ঞাত-
কেমনে বোঝায় মান-হুঁশ নিয়েই মনুষ্য।
যতোই করুকনা মানুষ মান-হুঁশে ধাক্কা-
বেকার হবে তা তবুও ঘুরবে না চাকা,
করুকনা চেষ্টা ব্যর্থ হবে কেষ্ট বৃথা-
নতো করবনা উচ্চ শির দৃঢ় মাথা।
চলতি চলিতে পদ পড়িছে গর্তে-
রক্ষে পাবে কেমনে নানান শর্তে,
বুঝিলেও বুঝিব-না ফাঁদিব-না কোনো ছন্দে-
না বুঝিলেও কাঁদিব-না কোনো মানুষের বার্তে।
চলিতেই বাঁধা আসে মানুষের স্বার্থসিদ্ধিতে-
বাঁধা দিয়েই জাগিতে চায় দেশ দ্রোহী মিলে,
বাঁধাকে নাশিতে উপায় জাগ্রত হও সর্ব দেশজুড়ে-
জাতি ধর্ম ধনী গরীব ভেদাভেদ ভুলে এসো মিলি গর্বে।
বাধার প্রকাশ বিকাশ উৎপন্ন সৃষ্টির ব্যক্তিকে নাশো নষ্টে-
অসৎ গতির ব্যক্তিকে ভষ্মীভূত করো নিজ দৃঢ় মুষ্ঠে,
ভষ্ম করো ভষ্ঠ করো দেশ দ্রোহীকে সৎএর গতিতে-
জাগ্রত করো নিজেকে অপরকে সকলকে অগ্রগতিতে।
পুষ্পের মতো প্রতিস্ফুতি করো সমাজ সভ্যতাকে-
প্রকাশ বিকাশিত করো পৃথ্বীর সর্ব সকল মনুষ্যকে,
উৎপন্ন করো বীজ অঙ্কুর গাছ বৃক্ষ অনুরূপ মানুষকে-
জাগ্রত করো পবন বারি ভূমি রবির মতো নব প্রজন্মকে।