পৃথ্বীতে হাত বাড়ালেই কবিতা আসবে প্রানে-
হারিয়ে যাবো চেনা অচেনা পথে,
খুঁজে পাবো জীবন্ত গানে-
ভালো থেকো পৃথিবীর সর্বমিলে
অশুভকে উপেক্ষা করে শুভকে নিয়ে।
সৃষ্টির পৃথিবীতে মানুষ করিতে চাই অসৃষ্টির কৃত্তি-
সুন্দর পৃথিবীতে সৃষ্টির নিখিলে মানুষ ধ্বংসে লিপ্তি,
সৃষ্টিতে যা কিছু আছে তাই নিয়ে মানুষ নয় সন্তুষ্টি-
সৃষ্টিকে নিয়েই ধ্বংসের মুখে ছায় বায় বিলুপ্তি নয় মানুষি।
নিখিলের মাঝে হাত ছানি দেয়-
বাঁচিবার ত্বরে দিশের মালার ন্যায়,
হদিশের দিশা বায় চতুর্দিকে হায় হায়-
হিসাব নিকাশ মিটায়বে কেবা সৃষ্টি ধ্বংসের ব্যায়।
চারিদিকে ছুটেছে ফুটেছে শুধু নাই নাই-
সমাজের শৃঙ্খলা মানুষের মাঝেই আঁকাবাঁকা সিঁধা তাই,
সমাজে শান্তি অশান্তির বাসা বাঁধে মানুষ অসাজিকতা কোথায়-
বন্দী খাঁচায় নয় কর্ন চক্ষুর মনুষ্য চাই কূল কিনারায়।
চক্ষু কন্য থাকিতে মানুষ যদি অন্ধ বদ্ধ সাঁজে মানুষ-
বদন থাকিতে মানুষ যদি বাকরুদ্ধ হবে তবে কবে পোহাইবে মান-হুঁশ,
কবে জাগিবে মান-হুঁশ ভাঙিবে কবে ঘুমন্ত তাজা মানুষ-
জাগিবে কবে দিব্যি জাগ্রত জীবন্ত তাজাক্ত মানুষ।
গন্ডী পেরিয়ে দেখো দৃষ্টান্ত সমাজ কতো এলোমেলো হতাশ-
হিংসায় ভরে গেছে রক্তপাতে নদীবয়ে জীবন্ত লাশে হাড় জমে সমাজ,
অন্যায় অত্যাচার নির্যাতনে জীবন নাশে প্রাণ কাঁদে নির্বিচারে আহত নিহত দিশা আজ-
গোলা বারুদ গাণে শোষন পিড়নে মাতৃ পিতৃ নিখিলের ভূমি রক্তের প্লাবিতে শ্মশান রুপের সাজ।
জাগিয়াছি তোমাদের পানে বাঁচিবার সনে-
জীবন যাই যাকনা ঝড় বৃষ্টির তুফানে সমাজিতে,
ভাটায় মাঠে বাটে সৃষ্টির উখান পতনে পৃথ্বীতে-
তবুও কি নীরবে রবে জাগ্রত মনুষ্য ঘুমন্ত ভানে।
পৃথিবী যাচে তোমাদের জন্যে ভূমন্ডল আঁচে প্রাণীকুলে-
ঈশান চাহে বিশ্বভূমন্ডলে এঁকে অপরে সময়ের পরিক্রমে,
বারি পানি ভূমি জ্যোতি যা কিছু সর্বমিলি ছায়া দানি করে-
গ্রহ উপগ্রহ নক্ষত্র তারা জাগি দিবানিশি তোমাদের সনি জোস্না পাতে।
তবুও কি রবে তুমি জাগ্রত নীরবে চারিপাশে ভাসে রক্তপাতে-
তবুও কি রবে নীরবে তুমি একূল ওকূল সর্বদিকে ভিড়করে জীবন্ত লাশে,
কান্নার ধ্বনি বয় রক্তের শিরায় শিরায় দিনরাত ভাসে সর্বক্ষণে তাজা রক্তের স্রোতে-
পিতা মাতা ভাই বোন সংসার পরিজন হচ্ছে নির্জন বিলুপ্ত হতে লুপ্তে।
মানুষ যদি নাইবা জাগে পৃথ্বী তুমি জাগো বারে বারে বসতি নিয়ে-
প্রাণের ভয়ে মানুষ সবে আজ নীরবে স্বার্থসিদ্ধ পূর্ণ করিবারে আপনকে নিয়ে,
নাহি আছে ভয় পৃথ্বী তোমায় প্রাণের সংশয় অমর তুমি আলয়ে-
মানুষের জন্যে সৃষ্টি ধ্বংস রক্ষার্থে কেনো আছো নীরবে জাগো তুমি এবারে।
মানুষ ভালোবাসে যা কিছু গড়ে সৃষ্টি করে স্বার্থসিদ্ধর পূর্ণের তরে নিঃস্বার্থ ফেলে-
সৃষ্টি করে কার্য কারণে মূলতঃ কার্য করে জীবন লাশে ধ্বংসের দিকে,
হে বিশ্ব নিখিল তুমিই পারো সৃষ্টিকে রক্ষা করতে নিজেকে ভালোবাসতে-
ধ্বংসকে তুমিই পারো রুখতে লুপ্ত হতে বিলুপ্তে নিঃস্বার্থ ব্বলে জাগো হে পৃথ্বী এবারে।