হে কাশফুল ফুটিয়াছো তুমি বিশ্বে সদৃশ্য-
প্রতিস্ফুট তুমি সর্ব শিক্ষা সাদায় পবিত্র,
নাই তোমার অন্তরে ভিন্ন কোনো সচিত্র-
শিক্ষায় শিক্ষণীয় আদর্শ বিদ্যাপীঠ নেত্র।
ঘুচিয়ে আঁধার পোহালো রাত্রী-
প্রভাত জাগিলো দিন পাখিদের কলরবি,
নীল আকাশে মেঘের চাহনী-
ঊষা উদিয়ে বসন পূর্বে গগনী।
গাছ বৃক্ষ ফোটে বিচিত্র বিভিন্ন পুষ্প ফুল-
নানা ঋতুতে রঙে ভাসে বসন্তের নদীকূল,
ভোরের বীণা বাজে বিদ্যা বাণীর সুর-
নিত্য নৃত্যে পুষ্পবন মাতে জ্ঞানের ঘুঙুর।
আঁকা বাঁকা সিঁধায় ঘেরা মানুষের জীবন-
ক্লান্তি নাশে সিদায় পীড়া মনুষ্যের কিরণ,
সন্ধ্যা নামে আধার জাগে জোনাকির আগমনী-
ধূপদীপ জ্বালায় শাঁখ বাজায় গাঁয়ের আভাসি।
ইচ্ছায় সচিত্র মাগে সত্যিকারের ভালোবাসায় হাঁকা-
সত্যি ভালোবাসায় কোনো চাওয়া পাওয়া থাকে না,
থাকে শুধুমাত্র অফুরন্ত বিশ্বাস ভরসা আর আস্হানা-
আর একমাত্র কেবলমাত্র একমুঠো আশা ভালোবাসা।
বিছায়াছো একূল হতে ওকূল অংশীদার হবে বোলে-
দিব্যজ্ঞান সম্পূর্ণ মান-হুঁশ মানুষ কি আব্দার দেবে,
অঙ্কুর ফুড়ে স্বয়ং জেগেছে নব জাতক জাতিকা হাতে -
অধিকার অধিকারে কি: ফিরিয়ে দেবে নব প্রজন্মকে।
ইচ্ছা ছিলো মনে মান-হুঁশে মানুষ হবো সত্যিকারের-
মানুষের মতো মানুষ হবো স্বচিত্র হাজার একের,
প্রকৃত ভালোবাসায় কোনো ধান্দা ফন্দী থাকে নারে-
মান-হুঁশের মতো মানুষ হতে চাইলে ইচ্ছায় সচিত্র হতে হবে।
ধর্ম কোনো মানুষের কর্ম নয়-
কর্মই মানুষ মানুষের ধর্মের চয়,
কর্মই ধর্ম মানুষ মানুষের পরিচয়-
মান-হুঁশের বার্তা ইচ্ছায় সচিত্র হয়।