এক ফসলা মাঠে বারি ভরা ঘাটে-
ভরা জলের চরে প্রাণীরা মুক্তয় খ্যালে,
একযে ছিলো দেঘরির গাঁ-
শ্মশান কালীর মন্দির চূড়া,
বট বৃক্ষের ছাওয়া শাল সেগুন মহুয়ায়,-
কতো মানুষের আনাগোনা সকাল বৈকাল জ্যোৎস্নায়।
আম লিচু কাঁঠালে নারকেল কলা খালে-
পারোয়রা বিহনে আসে দুপুর প্রখর প্রহরে,
মায়ের পূজা গ্রামের গাঁয়ে-
শনি মঙ্গল অমাবস্যা পূর্ণিমাতে,
কেঁউবা আসে সেবাতে শুন্য মনুষ্য সময়গোণে,-
একটা কুকুর থাকে একদৃষ্টি মায়ের চাউনিতে।
শ্মশান চুল্লীর খালে ছয়মাস বারিতে জলথাকে-
জগডুমুর গাছের ফলে ক্ষুধার্ত টিয়ারা আসে,
জঙ্গলের ফাঁকে বাসা বাঁধে-
জ্যোৎস্না চাঁদের কলঙ্ক মাঝে,
আসিতে পুদ্দারের-গাঁয় বাধা পুকুর পাড়ে,-
পশু কুকুর অসহায় একটু তৃষ্ণা নিবারণে।
দিনদুঃখি দিনয়ানা মানুষে ক্লান্তি নাশে ছায়াতে-
পক্ষীরা মানুষদেরকে ভাবে চিন্তায় মগ্ন ভবিষ্যতে,
দিনশেষে পরিশেষে গোধূলি নামে-
সন্ধ্যায় হরেক রকম পক্ষী ডাকে,
সুখদুঃখের গান গায় জগৎ বিরহী দুঃখে হাঁকে,-
দুর্গম দুর্বিসহ বার্তায় নিশিতে প্রহর আঁচে তাঁকে।
রাতে প্রাণীরা জাগে সর্প শিয়াল পিপরে টিকটিকে-
একে অপরে চিন্তাতে মনুষ্যের কি মান-হুঁশ হবে?,
অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ নিয়ে-
নব প্রজন্মরা দেশের সম্বলে,
রাত্রি পোহায় তপস্যাতে মানুষের কল্যাণে মঙ্গলে,-
ভোরে ফিঙ্গের সুরেতে প্রভাতে ঊষা পুর্বে মাতে।
বটবৃক্ষের শাখা প্রশাখাতে সবার নিদ্রা ভাঙ্গে-
ধোঁয়াশায় ভরে সমাজে বিদ্যা শিক্ষা পাঠে,
পথচারীর চরণধূলি মস্তকে তুলে-
ক্লিষ্টের ধৈতপানি গাত্রে মাখে,
গাছেরা নিরালায় ক্লান্তিতে মরুসম সূর্যতাপ সহে,-
দূর্বা শিশির শিশিরাঙ্কতে রবির আলোরশ্মি কুয়াশাতে।
সকালে জাগরনী করে বাহির হয় আহারে-
যেযার সন্ধানের খোঁজে স্বার্ধ মতো ভক্ষণে,
পায়রা নুড়ি কাঁকর পাথরে-
পক্ষীরা যা কিছু কতিপয়ে,
শ্মশানে পূজাঅর্জনা করে সন্ধ্যা চলে নিয়মে,-
প্রকৃতির প্রাকৃতিক চলে সময় অনুসারে তিথিতে।