হে বসতি যুগ হতে যুগে কাল হতে কালে জাগিছো তুমি-
আজও আমি রাখিয়াছি আঁচল পাতি তোমার সহি,
চেতনার বাহন বসিয়াছি তোমার পানে পথ চাহি-
অবচেতনের কাহন ফেলিয়াছি বাঁধি সমাজের লাগি।
হে বসতি তুমি বাঁধিয়াছো সাথী অক্ষয় সবুজের সাথি-
তবুও কি ভুলিয়াছো তুমি জলন্ত নিভন্ত কুপের বাতি,
বাহীয়েছে তোমার বুকে পদ হতে শিরে রক্ত বারির শিখি-
তবুকী মেখেছো অঙ্গে কেঁদেছো তাদের রক্তের রক্তী।
হাঁকিয়াছে ঈশানে মেঘ বর্ষণে বিদ্যুৎ চমকে চতুর্দিশে-
ভাসিয়াছে ধরার বক্ষে পূর্ণ সলিল চতুরে উচ্চ নিম্নে,
সবুজে সবুজ ঘেরে পৃথ্বে সময় ফলে অসময় বিফলে-
ঋতুতে ঋতু মেলে পৃথিবীতে কার্য কারণ সমন্বয়ে নিখিলের তটে।
চেতন হয়েও মনুষ্য অবচেতনে রিক্ত-
চেতন্য মানুষ সর্ব অবচেতন্যে লিপ্ত,
ভুলের মাশুলে গুন্তো অগুন্তো ভুক্ত অভুক্ত কাম্যে যুক্ত-
তবুও কি অবচেতনে প্রাণ্য চেতনে কী মান্য ক্ষিপ্ত।
মানুষে মানুষে গণ্য মাণ্যই প্রমান্য বসতি-
জাগিয়াছো তুমি দিবানিশি পৃথ্বীর প্রহরী,
আঁধার আলোর মাঝি গ্রহ নক্ষত্র তারা পৃথিবী-
শশী রবির দ্বারি আন্ধার জ্যোতি পবন বারি বিশ্বমন্ডলী।
দেখিছো স্বয়নে নিখিলের বুকে উখান পতন সৃষ্টি মৃত্যুর স্তূপে দেশন-
জীব প্রাণী পক্ষী জড় অজড় জলজ স্থল শূন্য ভূমি উদ্ভিদ লতা গুল্মী মনুষ্যি স্বরূপে পথন,
স্বয়ং চক্ষু দৃষ্টি পটেও জ্ঞাত অজ্ঞাত চলন গমনে গতে দৃশন-
সৎ অসৎ ভালো মন্দো ন্যায় অন্যায় বিচার দিশে হীনবলে ফলে বিফলে স্বাধীন পরাধীন চেতনে অবচেতন।
দিন যায় রাত আসে সময়ের সমন্বয়-
রাত যায় দিন আসে পরিবর্তনের ক্রমন্বয়,
ঝড়বৃষ্টি সৃষ্টি বজ্র বিদ্যুৎ জোয়ার ভাটা ভূমিকম্প তুফান চয়-
বন্যা নদী খাল বিল সমুদ্র সাগর পাহাড় পর্বত ইত্যাদি প্রভৃতি চেতনে অবচেতন দৃষ্টান্তয়।