বাঁধা নাহি বন্দী তুমি-
তবু রাহিয়াছে তুমি বন্দী,
সবাই বাহিয়াছে খোলা মুক্তী-
স্বার্থ নিঃস্বার্থ সর্ব ভুলি।
তোমা রাখিয়াছে বাধা বন্দী-
চাহিয়াছো বাহি মুক্ত মতি,
নাই পারাপারের গাহি শান্ত গতি-
আমি দেখি তোমাতে মরি গন্ডী।
সবাই ঘুরিছে উড়িছে চলিছে মুক্ত আকাশে-
তুমি বসিছে দেহি খাঁচায় বন্দী মুক্ত ঈশানে,
দিয়াছে তোমায় খিচুরী ঘন্টো বাসি বারি বর্জিত পাত্রে-
বহিরে সবাই খায় বিষাক্ত বিনা পক্ক বিভিন্ন ফল্ক ত্রাণে।
গাহিয়াছে খোলা প্রানে কত অজস্র বিভিন্ন জয়গান আপনে-
শোনাইবে দিন রাত আপোষে নিরালায় একান্ত মনে,
তুমি আছো দিবারাত্রি দিবানিশি ক্লান্ত পানে-
শোনাই পরিশেষে দুঃখের গ্লানি অবশেষে অশেষ গানে।
গাহিয়াছো কতো অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ এর মান-
তুমি বলিয়াছো কতো দুঃখ কষ্টের মনপ্রান জয়গান,
কেঁউ শোনেনি তোমার কলতান জীবন মৃত্যুর তান-
তাঁরা গেয়েছে শুধু মুক্ত পানের শান্তির জয়গান।
তুমি বলিতে চাও কতো অসংখ্য কথা শান্তির বার্তা-
বুঝবে কি কেঁউ তাঁর মর্মতা জয়গানের কথার ব্রতা,
বুঝেও না বুঝার ভান করে দেখেও না দেখে ক্লিষ্টা-
শুনেও না শুনার ভাম করে সবাই বন্দী মুক্তির শ্রতা।
তবু বন্দী রেখেছে তোমায় ফন্দি-
দেয়নি মুক্তি খাঁচায় বদ্ধ আশক্তি,
দেয়নি প্রকৃতির সনে মিশতে মানুষী-
খোলা মুক্ত আকাশে মুক্তি ঈশানী।
করিনি কেঁউ জত্ন আছো অজোত্নে পাত্র-
তোমায় করেছে গন্ধ ক্ষত কতো অজস্র গাত্র,
সৌন্দর্য গাঁয়ের রং করেছে ঘৃণাত্র বিচ্ছিরন সর্বত্র-
সাধের খাদ্য হতে সাদের পক্ক ফলমূল রেখেছে দূরত্ব।
যদি মুক্তি পেতে তুমি সবাইকে করতে মুক্তি-
রাখিতেনা কোনো ফন্দী করিতে মুক্তি সকলি,
বাঁধা নাহি বন্দী তুমি-
রাখিয়াছে বাধা তোমায় বন্দী।
বাধা নাহি বন্দী তুমি-
তবু রাখিয়াছে তুমি বন্দী,
রেখে বন্দী দিতে চাই কতো যুক্তী-
শান্তি অশান্তির মর্মতি বোঝেনি মানুষ মানুষী।
বন্দী তুমি খাঁচায় মুক্তি-
বন্দীতে মুক্তি খাঁচায় তুমি,
প্রেক্ষাপটে চাহিবার হিতে-
উপেক্ষা নাহি করে মুক্তি বন্দীতে।