তুমি নিরীহ মানুষ তাই রয়েছো একাকী
হয়েছো তবুও দশের অন্তে মধ্য একজনী-
দ্যাখেনি তোমাকে কেঁউ ফিরে পশ্চাতে তোমারি
আছে জীবন কেমন তোমার কিছুতে কমতি,
আহার জুটাও দিন আনা খাও দিনমজুরী
পাও কিনা পাও দিন অন্তিমে পূজির পুঁজি।

দ্যাখেনি কেঁউ বদলি শুধু পোশাক আশাকি
সৎ বিদ্যাকে চিলেকোঠায় রাখি অসৎএ সব উন্মুক্তি-
যদি পাল্টাতো ব্যবহার চরিত্র কালচার বিবেকী
তবেই বদলাতো অন্ধ মুক্ত অর্জন বর্জন রূপান্তরি,
তুমি নিষ্পাপ শিশুর মনি মুক্তা করনী মোহী
পাপিষ্ঠ মনোহরনী শিশু তুমি মনী মোহিনী।

দ্যাখেনি কেঁউ পৃথ্বীর জনে তোমাকে ফিরে
পাই কিনা পাই ভালোবাসা তোমার থেকে-
জন্ম দিয়েছে বিধি-বিধাতা তোমাকে এক মোহিমে
হোকনা ফর্সা কালো ভালোমন্দ ঘৃণা মোহে,
সেতো তাঁরই জন্ম মৃত্যু সৃষ্টি কর্তার হতে করেতে
খোদিত বিধান আছে খোদাই লিপিকা কর্মতে।

তুমি শান্তো সভ্য ভদ্র নম্র সত্য বোলে
রেখেছে তোমায় পর্ষদ থেকে পশ্চাৎ করে দূরে-
তুমি সৎ ন্যায় ভালো সিঁধা সিদা আছো পথে
তাই অসৎ অন্যায় মন্দো রহিতে চাইছে বক্রে,
চাইছো তুমি দশের এক হতে পৃথ্বীর মাঝে চয়ে
তাই মিত্র হতে শত্রুতে বায়ছে কতিপয় মনুষ্যে।

পৃথিবীরে বেসেছো ভালো ধরাতে এসে মানুষকে
নবিন ভোরের সাঁঝে নব সুপ্রভাত সেজে-
ভালো বাসিছো কালোরবে সোনালী সকাল সূর্য্যিতে
গ্রহ নক্ষত্র তারা প্রাকৃতিক প্রকৃতি চন্দ্রে,
শশী রবি ভানু ঊষা ঊর্ষি একত্রিত হয়ে
গাছবৃক্ষ লতাগুল্ম গুল্মি পশু পক্ষপক্ষী বারি ভূমিতে।

অগ্নি তুমি সৃষ্টি সৃজনে সৃষ্টির অন্তোতে
উখান পতনে তুমি শুধু অন্তো অন্তিমে-
সৃষ্টির অন্তর্যামী তুমি ধরন ধারন পোষনে
পবত পবন তুমি ভাঙন গড়ন জীবন মৃত্যুতে,
জনম পবতি কান্না হাসির সুরোকি তোমাতে
বিরহের নিরীহ তুমে সর্বতে খুঁজি তোমাকে।

শান্তো তুমি ভোর নিরালা বাতী
ক্লান্ত ভোরের বাতী নিরালা তুমি-
ম্লান্তো ভোরের শান্ত তুমি আলো প্রভাতী
আলোর সাথী তুমি মিলান ভোরের প্রভাতি,
বসন্ত সূর্ষ্যির ধোঁয়াশি তুহি পোষ মাঘী
প্রভাতে ঊষার ঊর্ষি তুমি নবীন সকালি।

সকাল ভোরের প্রভাত তুমি
দিবা নিশির আলো আঁধারী-
তুমি পৃথ্বী প্রহর উদয়ের সূর্যি
দিপ্রহর সোনালীর মধ্যাহ্ন লগ্নি,
বেলা শেষে গোধূলি সন্ধি
ত্রিসন্ধ্যে পূজানী সন্ধ্যা আরতি।

তুমি সাজের পরীর স্পন্দন দীপা
সাঁঝের ব্যালার সাজি প্রদীপ শিখা-
তুমি আঁধারী পথের জ্যোৎস্নার দীশা
অমাবশ্যার নিশি পূর্ণিমা তিথির জ্যোৎস্না,
তুমি সুখদুঃখের সারথি মতীর মীতা
ক্লিষ্ট পথিক পাওয়ার আশায় অনুগামীতা।

তুমি আঁধার রাত্রির ক্রন্দন ধ্বনি
অসংখ্য প্রাণের সহস্র ম্লান কলরবী-
তুমি জগৎ বিরহী দুঃখকে ছাপানো দুঃখী
অজস্র ত্রাণের কন্ঠ কান্না হাসি,
তুমি ধরণী মোহিরূপী জগৎমাতা ধাত্রী
শ্রান্ত কালের পথিকী ভ্রান্ত উপেক্ষার্থী।

তুমি জগৎ বিরহী দুঃখের থেকেও দুঃখী
আছে কিনা দেহে দেহ অন্তর খানি-
দেহী মনপ্রাণ প্রান হৃদয় আত্মা যানি
তুমি তোমার নিজেই মান অভিমানি,
জানি তুমি স্বয়ং উখান পতনী
তবুও তোমায় আমি ভালোবাসি।