তোমার বিহনে আজও আছি আমি অপেক্ষায়-
তুমি আছো সর্বত্রে সর্বময় সর্বসময় অন্য প্রতিক্ষায়,
যখন বলবে কথা বেরোবে কবিতার বর্নছটা মায়-
কথা বলতেই বদনে কবিতার গন্ধ বিলাবে তোমায়,
আশার ছন্দে ভাষার বর্ণ ছিটাবে তৎপর তৎক্ষণায়-
মান-হুঁশ হতে মানুষে মানুষ হতে লোকালয়ে বার্তায়।
তুমি আছো তাই জীবন প্রান যান আশ্রিতায়-
প্রেম ভালোবাসা স্নেহ মায়া মমতা ত্রাণ পায়,
আছো বোলে তুমি যানে মনে প্রাণে পরাণটা জুড়ায়-
অজস্র পীড়া অসংখ্য ক্লান্তি ক্লিষ্ট নাশি কাছে তোমায়,
তোমার জন্য আছি বেঁচে পৃথিবীটা জুড়ে অসহায়-
তোমার আশে বিশ্ব কাঁদে সৃষ্টি গড়ে নাশে বর্ণনায়।
তোমার জন্যে কারণে অকারণে করে ভোলে-
তোমার হেতু সৃষ্টি কাঁদে হাঁকে বিহনের অবসানে,
অহংকার লোভ লালসা হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণা দ্বিধাদ্বন্দ্ব নাশে-
মানুষে মানুষ মাতে মান-হুঁশকে ভ্রম কোরে,
মোহের মায়ায় মানুষ মানুষে ভ্রান্তি করে-
মোহের ছায়ায় তোমাকে কি মানায় মোহের আঁচে।
আগলে আছি তোমার জন্য পৃথিবী বুকে নিয়ে-
সূর্যের প্রখরে বক্ষ চিরে ভূমন্ডল ভেদে চেয়ে,
প্রকৃতি নিত্য করে একে অপরের বিভেদের জন্যে-
সৃষ্টি সৃষ্ট করে সৃষ্টিকে রক্ষার ত্মরে মিলনে,
তুমি আছো সৃষ্টিকে ভুলে অন্যের নিমিত্তে -
আপন পর মানুষ মানুষকে ভ্রম করে স্বার্থে নিঃস্বার্থে।
ফুল ফোটে গাছেতে বোলের মাগে-
সৃষ্টি করে সৃষ্টির জন্যে পুষ্পের অনুরূপে,
তুমি আছো তোমার জন্যে সৃষ্টির অনুকূলে-
সৃষ্টি আছে সৃষ্টির জন্যে সবার হিতে,
পুষ্প ফোটে ফুল বিকশিতে সকল নিমিত্ত হীনে-
সকল মন প্রাণ হৃদয় বিবেককে দেখো নিজের নিজে।
তুমি আছো তাই সৃষ্টিকে জানায় মণিকোঠায়-
সকল সৃষ্টি সৃষ্টির রক্ষায় অবক্ষয়ে অক্ষয়,
সৃষ্টি আছে তাই মিলনে একে অপরে একত্রিত হয়-
সৃষ্টির কানাই সৃষ্টিকে জানায় অবক্ষয় রয়,
তুমি হাসো তুমি ডাকো তুমি কাঁদো তুমি হাঁকো একায়-
যেন-বড়ো গাছে ঝড় বাদায় ছোটো বৃক্ষের মাথা খায় ছাগলায়।
বিশ্ব কাঁদে তোমার নিত্যে দৃশ্য দৃষ্টে-
তোমার দৃষ্টান্ত চলন গমন লক্ষনে,
তুমি আছো পটে সমস্ত বাঁচে তাই সর্বক্ষণে-
তোমারি চলার পথে স্মরণ করে সর্বময়ে,
বিশ্ব হাসে তোমার নৃত্যে সৃষ্টির সৃষ্টি একত্র সর্বত্রে-
আমি কাঁদি তুমি হাসো কীর্তির সৃষ্টি সর্বময় একত্রে।
তোমার বদনে দৃষ্ট থাকে কারণ অকারণ স্বার্থে-
সৃষ্টির দৃষ্টে দৃশ্য থাকে কারণ লিপ্ত নিঃস্বার্থে,
তোমার দৃশ্যে দৃষ্টান্ত থাকে স্বার্থ পূরণে -
সৃষ্টির দিশে সৃষ্টি থাকে নিঃস্বার্থ রক্ষার্থে,
বোঝায় কেমনে মানুষ মানুষের জন্যে উদাহরণ স্বরূপে-
ধর্ম কর্ম নয় কর্মই মানুষের ধর্ম বিহনের অবসানে।
তোমার বিহনে বিশ্ব ভাসে কারন অকারণে-
মানুষ মানুষে মানুষে ভুল বোঝে হন্য হয়ে,
সময়ে অসময়ে ভেদাভেদ করে মোহের টানে-
তোমার অবসানে মানুষ মনুষ্যত্বকে নাশে,
একে অপরে মায়ায় ভোলে ছলনায় নষ্ট করে-
মান-হুঁশকে মানুষ বর্জন করে মানুষকে নাশ করে।
হে মান-হুঁশ জাগো তুমি মানুষের মাঝে অনন্তে-
নব জাতক জাতিকার হৃদয়ে নব প্রজন্মে অমরে,
সৃষ্টিকে রক্ষা করো তুমি সৃষ্টির জন্যে অশেষে-
অমানুষকে নাশো,মান-হুঁশকে নিয়ে ত্যাজো নিরন্তরে,
নব নবীকে নিয়ে জাগো তুমি মনুষ্য লোকালয়ে-
পৃথিবীতেই আছো তুমি মনুষ্যের অবশেষে বিহনের অবসানে।