দিবা যায় নিশি আসে সময়ের সমন্বয়ে-
রাত যায় দিন জাগে পরিবর্তনের ক্রমন্বয়ে,
মানুষে মানুষে মিলন গড়ে অতীত বর্ত ভবিষ্যৎ-এ-
মন মনে মিলিত করে সন্ধি মিলার ভালোবাসাতে।
আজও আমরা বেঁচে আছি তোমাদের স্মৃতিতে-
অতীতের গতি বর্তমানের প্রতীতির গতি ভবিষ্যতের আশা নিয়ে,
আজও আমরা হেঁটে চলেছি সেই যুগ যুগের নিশানা নিয়ে-
আমরা বেয়ে চলেছি জানা অজানা পথের মাঝে।
সেই নীলো কুটির বাঁকে মেঘলা দিঘির আঁচে চতুর্দিকে-
পবন বেগে ধেয়ে চলে ভারাক্রমে বর্ষা নামে ধারাতে,
ঈশানে জ্যোতি উদয় অস্তে দিবানিশিতে গ্রহ নক্ষত্র তারা হাঁকে-
শূন্যে ভাসান ভানু পাতে জোস্নায় মাতে উপগ্রহ আঁকাশে।
পূর্ণিমার চাঁদ যেনো আঁচল পাতে জগৎ বিরহী দুঃখীর মায়ের আঁচলে-
রক্তঝরা মাটির বুকে আজও পরাধীনতা উঁকি মারে রক্তের ছায়া ঘিরে,
রবি সূর্যি ঊষা একত্রে জ্যোতির শিখায় স্বাধীনতা ঝুঁকি মারে সংশয়ে-
রক্তাল ভূমিতে নিখিলের বক্ষে জীবন ভাসে প্রাণ কাঁদে একটু শান্তির বিনে।
তবুও মানুষ চেয়ে আছে তোমাদের পানে একটু ত্রাণের দিশে-
পাবে কিনা পাবে আসবে কিনা আসবে ফিরে সত্যের মাফিতে সর্বজনে,
যদি আসে ফিরে স্বাধীনতা হবে ন্যায় নিষ্ঠার মাপকাঠিতে-
নাইবা ফিরে আসে পরাধীনতা ছাবে অন্যায় অত্যাচার অশ্লীন সমাজে।
কলুষতা আজ পূর্ণতা অলসতায় বাজ সাহসীকতায় সমাজ-
শাসকেরা পাতিছে বাসা তাসের ঘরের মতো কেন্ট্রি বেশ্যার শালা আজ,
শোসকেরা কাঁদিছে হাঁকিছে আঁচল পেতে প্রান ভিক্ষা ত্রাণে হতাশ-
পিতৃ মাতৃ ভাই বোন আজ নির্জন সংসার হয়েছে আবর্জন ভোগ বিলাসে শাসকও ফণার বৃষাচ।
হে মানব তোমরা মহান পৃথ্বীর মহা মানব-
নিজে কাউকে কখনো দেখোনা ভেবোনা দাণব,
সৃষ্টির মাঝে সৃষ্টি হবে ধ্বংস হবে নীরবে দানব-
মানুষে মানুষ বলে হিসাব নিকাশে প্রাণী জপে প্রান্তব।
হে বিশ্বালে তুমি পৃথিবীতে জীবন প্রাণ জ্বালো-
আছো জাগ্রত ভূমি ভূমন্ডল পৃথ্বীতে বিশ্ব জালো,
গড়িয়াছো কতো তুমি সৃষ্টি ধ্বংসের মাঝে আজো-
ভালো মন্দো সৎ অসৎ ন্যায় অন্যায় নাশ বিনাশে ত্যাজো।
পৃথিবীর অন্তরে নিখিলের ভূমি কাঁপিছে কাঁদিছে মাটি-
বিশ্বের বুকে হানে কারণ অকারণে মৃত্যুতে হাঁকে খাঁটি,
বেকার অসহায় নিঃস্ব মানুষের জীবন কর্ম ফিরিয়ে দিবি এটাই দাবি-
মৃত্যু নয় রক্ত নয় অশান্তি নয় শান্তি চাই সেটাই মানুষের আব্দারি।
সমাজের অন্তে অমানুষের রূপ নিয়ে মনুষ্য ঘোরে মানুষের ভিড়ে-
শান্তির ঘরে অশান্তি খোঁজে স্বার্থ লুটিবারে স্বার্থসিদ্ধি মনুষ্য মিলে,
মোহ লোভী লোলুপ লালসি প্রবঞ্জকি সমাজের ফাঁকে উঁকি মারে-
শাসকেরা শোসকের চালা জানলা দরজার ফোঁকরে ঝুঁকি নিয়ে কড়া নাড়ে।
আজও আমরা বেঁচে আছি নব প্রজন্ম প্রবীনদের আশায়-
নৈরশ্ব থেকে ভৈরবে নশ্বর থেকে অবিনশ্বরে ছাবে সামাজিকতায়,
আজও আমরা বেঁচে আছি স্বচ্ছ স্বাচ্ছন্দ পরিষ্কার উজ্জ্বল ভবিত্ব্যতায়-
অন্ঝকার মূর্চ্ছনায় আলোর পূর্ণতায় জ্যোতির কণায় কণায় গড়িবে তাদের দিশায় ১৮বছর বয়সের শিক্ষার আলো ছায়ায়।