পরিয়াছো লাল শাড়ি গায়ে গাঁয়ে হলুদ তুমি
আশীর্বাদ নিয়েছো শত তুমি কতো মানুষি-
গলেতে পরিছো শতো রূপে বাহ্ অলংকারী
শিতল প্রকৃতির নরম নিরীহ গায়ে গাত্রী,
যেন পথিক পথ হারিয়ে ফিরে আসে ঘরে
শিশির কণার সমপদস্হ হয়ে গ্রাসে।
গাত্রে জড়ানো তোমার নীল ঈশানের শাড়ি
এপার হতে ওপারে কূল হতে কূলান্তরী দীর্ঘী-
অস্মি শান্তির প্রতীক সাদা মাটা মাঝামাঝি
মুখ বদনে হাসি শ্যামা শিরে কালো কেশোরী,
কতো যে ক্লিষ্ট আছি 'রব' তোমারে জানায় তোমার কৃপায় বাহী
শতো ধৈর্য্য আছি ধরে উদ্ধার করিতে দূরের আশায় যাচি।
চাউনিতে জগৎ চাহে তোমারি আঁখি নয়ন মনি
ঠোঁটেতে টিয়া বসে পক্ক ফল্কো লয়ি মণি-
নাসাতে নুপূর কাঁদে নুপুর টিয়ার ঠোঁট বায়ি্
আদলে অনুরূপে স্বরূপে রূপে সচিত্রী চাহি,
কর্ণে ক্রন্দন বাঁজে জগৎবিরহী দুঃখী মায়ের লাগি কন্ঠস্বর মর্মী
কানে হয়েছে বদ্ধ বন্দ তম সোহাগ আঁচি রতি শারীরিকী।
আছে গাত্রে সহস্র যে অলংকার বহুরূপী
ভালো মন্দ সৎ অসৎ ন্যায় অন্যায় গঠনে মাখি-
সাজিছো তুমি নম্র ভদ্র শান্ত নিষ্পাপ প্রকৃতি
বসিয়াছো অবুঝ কোকিল সুরে বসন্ত ভোরের প্রভাতী,
জাগিছে প্রকৃতি বারোমাসি ভিন্নভাবি নানাতে-মাতি বারোন্তি
অসংখ্য রূপ ধরে রূপান্তি উপেক্ষা উপেক্ষার্থী খোদাই আঁকি।
শিশু শৈশবী কৈশোরী পেরিয়ে যৌবন নিয়ে সংসারে বাগি
শিশু শৈশব কৈশোর ভ্রমে যৌবনে দাগি সংহারে তাঁরি-
কতো যে দিন গেলো ভুলেছো তুমি এখন ভ্রমরী
জানিতেও নাজানো সব দেখিতেও নাদ্যাখো ভ্রমরের সহি,
গাঁথা আছে সব মালায় স্মৃতি নির নিরব করিতে নাই পুঁজি
পরিবে মনে বৃথা মিছা প্রেমে লাকি হেতু শূন্যি করিতে ঘূর্ণি।
আছে দুঃখ কষ্ট জীবন মৃত্যু বিরহদহন বাহে্
তবুও শান্তি তবু আনন্দ মাতে তবুও অন্তর জাগে-
প্রহরশেষে আলোয় রাঙিয়েছো তুমি মাঘমাসে
তোমার চোখে দৃষ্টি তুমি অন্য দৃষ্টিতে তোমার সর্বনাশে,
প্রেমের আঁখি প্রেম কাড়িতে চাহে মাঘের আশে
তাই মোহন রূপ ধরিছো কনে হতে বিয়ের সাজে।
বসন্ত মাঘী তুমি সকাল প্রভাতী ঊষা সূর্য্যি
শশী নক্ষত্রী পরিয়াছো সুরভী মালা গলী-
আমি যে আপনায় ফুটাতে পারিনাই মারিতে
তাই পরান কাঁদে তোমাতে আমায় ফুলশয্যায় রাতে,
ক্লান্ত সন্ধ্যায় রজনীর ঈশান আকাশে দিই তোমায় পাহারা
যদি পাই স্নিগ্ধ পূর্ণিমার জ্যোৎস্না নৈসর্গিকতা।
তাঁহারে তুমি যে সোহাগ রঙে যায় সাজাতে চাই
যেন বিনিদ্র কোলে কালে বাঁধিবে তাঁহারে গোপনে ঠাঁই-
তাঁরে সোহাগ প্রেমে সাজিয়ে রেখেছো কোথা হাই
অন্ধ প্রেমে কানাই সাজি সানাই বাজে সেথা তাই,
প্রেম হয় যদি মরীচিকা তব সেথায় দিবানিশি শয্যায়
প্রেমের লাগি ভঙ্গুদ্বয় এব জাগায় তম ভগ্নহৃদয় হেথায়।
ভাঙে যদি যানি সমমর্মী
দেহ মন প্রাণ দেহখানি-
শুন্যে ভাসি সেথায় আমি
চিঠি দিসি একবার জীবনী,
ত্রাণ থাকিতে সহি যামিনী
নারিতে সহি্ ঘনি্ কামিনী।
উপেক্ষায় অপেক্ষা জানি
নারীতে অবলা না-মানি-
করিতে উপেক্ষা উপেক্ষার্থী
তবুতো আছি আমি তোমারি,
এপার হতে ওপারী সহমর্মী
তবুও তো ভালোবাসি অন্তরের অন্তরী।