আমার সেই ব্যক্ত অব্যক্ত স্বতেজ অঙ্গীকার-
তেতে নেই কারো অধিকার,
গিয়েছে কতো শতো অজস্র মানুষের রক্ত ম্লান স্বীকার-
দিয়েছে কি তাঁর প্রতিদান ফিরিয়ে অধিকার।
আজও কাঁদে জাগে শূনশানে তাজা রক্তের প্রাণে-
কতো ভাই বোন হাঁকে ভিক্ষার থালা কড়ে পানে,
লাঞ্চিত বঞ্চিত নির্যাদিতো অসহায় মানুষ ত্রাণে-
যান্ প্রাণ ফিরিয়ে দাও তেজস্বী অঙ্গীকার মানে্।
অসংখ্য মায়ের কোলহারা আঁচল হারা প্রাণ-
পারবে কি ফিরিয়ে দিতে বলিদানের প্রতিদান,
স্বাধীনতার তরে আজও অসহায় পিরিত মানুষ ছুটেছে লীন-
দেশ নাহি পরাধীন কিন্তু মানুষ এখনো পায়নি স্বাধীন।
চারিদিকে ছেয়ে গেছে কাক শকুন চিল মনুষ্যে-
ভরে গেছে শিয়াল কুকুর হিংস্র পশুরূপ মানুষে,
স্বার্থ সিদ্ধির তরে মানুষ মানুষকে ভেকিছে-
নিঃস্বার্থ সৎ ত্যাগে অসৎ পথে ত্যাজে লিপ্ত মনুষ্যত্বে।
হায় হায় রব উঠেছে কলরবে দেশজুড়ে-
উঠেছে অসৎ স্বার্থ নিষ্ঠাচারে ক্ষিপ্ত বজ্রপাতে,
চতুর্দিকে মুনাফায় ফুটেছে গদি কর্তি কর্তে-
দেশজুড়ে লুটেছে ভষ্টচারে ভষ্ম সুযোগে মর্ত্ত সর্বে।
মেঘ এসে হানা দেয় বিদ্যুৎ-এ চমকায় বজরায়-
বৃষ্টিতে সৃষ্টি অঙ্কুরে দেশের স্বাধীনতা কুরায়,
অমনি লুফিদার কয় বেচারা অন্ঝ হয়েছে বদ্ধ কারায়-
কারায় নাড়া দিতেই গদিরা কহে বদ্ধে অন্ঝে পরেছি জ্বালাই।
গন্ধ পেলেই ছুট দেয় লোভ মনুষ্য কামিনায়-
যদি পাই তিল থেকে চাল হতে পারে চাল্ থেকে পাকায়,
রাত হতে দিন বায় জীবন প্রাণ সংশয় ক্ষুধার্তের তারণায়-
দিন হতে রাত বায় ত্রাণ যুদ্ধের সাইরেনের বাজনায়।
জন্ম ভূমি ছেরে দিয়েছে পাড়ি পরোদেশে-
স্বাধীনতার মূলে আনবে ফিরিয়ে দেশে শান্তিতে,
পেরেছি কি আনতে প্রাণ গেছে যুদ্ধের রণভূমে রক্তে-
দিয়েছে কি পরিবর্তে অসহায় শিশুর জন্ম ভারত ভূমিতে।
ক্ষুদিরাম বিনয় বাদল দীনেশ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু-
মাস্টারদা সূর্যসেন ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ দেশের প্রকৃত বন্ধু,
এরাই ছিল দেশের স্বাধীনতার শীর্ষে ভারতবর্ষে মূলে-
এদের তরে ভারত ভূমে বসুন্ধরা ফোটে সবুজ শষ্য শ্যামলে।
আমার সেই ব্যক্ত অব্যক্ত স্বতেজ অঙ্গীকার-
তাতে নেই কারো অধিকার,
গিয়েছে কতো শতো অজস্র মানুষের রক্ত ম্লান স্বীকার-
দিয়েছে কি তাঁর প্রতিদান ফিরিয়ে অধিকার।