দিয়েছি কতো ভালোবাসা আপোষে নিরবতা-
হিসাব নিকাশ দেওনা আমায় পাবা কিনা পাবা,
অম্বুবিন্দুর ওই জলরাশি বুঁদ বুঁদেরি কতো হাঁসি-
কচুর পত্রে পদ্ম পাতায় শিশির পরে অম্বুবারি।
আলো কাঁদে অন্ঝ ছোটে গন্ধ লুটিবার তরে-
দিশা কাঁপে আঁধার ছোটে বদ্ধ করিবার মূলে,
দিবা কাঁধে নিশি হাতে ক্ষুধার্তের থালা কড়ে-
ভিক্ষার থালে লাথি মারে গাঁয়ের জোরে নিষ্পাপ বুকে।
পৃথিবীতে হয়েছে বড্ড অসহায় সৎ অসৎ সমতুল্যায়-
জাগ্রতের জন্য বুঝি ভালোবাসা মিশে গেছে ধূলায়,
কোনায় কোনায় জোনায় জ্বলে ঝিঁঝিঁ ডাকে মৃত্তিকায়-
ফড়িং ওড়ে মরণ ডাকে কুপের প্রদীপ শিখায়।
সন্ধ্যার বুকে দাঁড়িয়ে থাকে দিশার বোবা পথিক-
অমনি করে হানা দেয় স্বার্থ সিদ্ধির পশুরূপ মানুষিক,
উই/উয়ি ওড়ে সন্ধ্যা কালে মরণের ডাকে ঝাঁকে-
গোধূলিতে উঁকি মারে কুক পক্ষীতে হাঁকে বৃক্ষে।
যেখানেই ফোটে হাজার রাশির আলোকি-
সেখানেই ছোটে আন্ধারের জ্যোতির মানুষি,
বাদুড় ওড়ে পেঁচা ওড়ে অন্ঝকারের জোরে খাবার দোহি-
বাবুইঝোলে টুনিডাকে ডুমুরেতে কোকিলডাকে ভোরি।
চারিদিকে ছুটিতে হাহাকারের লাঞ্ছিত বঞ্চিত তোলপাড়-
নেই ঠাইয়ের কোনো আশ্রয় নিস্তারের কারবার,
চতুর্দিকে ছেয়ে গেছে কালে অকালের দুর্নিবার-
আলো ধায়িছে কম্পিতের সলতেতে মৃদুছে দুর্বার।
যেদিকে তাকাই সেদিকে জুড়ায়-
দৃষ্টি হতে আঁধারে পুরায়,
শান্তি নাই অশান্তিতে ঘুড়ায়-
নিঃস্বার্থ হায় স্বার্থ দিশে পুড়ায়।
সূর্য ওঠে কাঁপিতে কাঁপিতে দিবায় জাগে-
রবি নিম্নে কম্পিতে কম্পিতে বিদায় অস্তে,
জ্যোৎস্না বাগে আঁধার ঘোচে সর্বত্রে-
নক্ষত্র জাগে মিট মিটে রাত্রে আধস্বরের ভয়ে।
ধনু জাগে সাতারঙে জ্ঞাত অজ্ঞাত জাগ্রত রাগে-
দিবা পাতে ঞ্জানের ভান্ডারে নিশি মাতে লুফি তালে,
মেঘ এসে ভষ্ট করে বর্জ্রপাতে নষ্ট করে রাতে-
শিলামিতে ভষ্ম করে বৃষ্টি পাতে সৃষ্টি করে দিবানিশে।
দিয়েছি কতো ভালোবাসা আপোষে নিরবতা-
হিসাব নিকাশ দেওনা আমায় পাবা কিনা পাবা,
যেদিন থেকে দিয়েছি স্বার্থ নিঃস্বার্থ ভালোবাসা-
সেদিন থেকে হারিয়ে গেছে আমার স্বাধিনতা।