মাথাতে ঝুড়ি, নোংরা জামা, ধূতিটাও নোংরা       ।
               গায়ের রঙ ময়লা আর চেহারা-খানাও খ্যাংরা       ।।
           ঝুড়ির ভিতর দোলনা, পাখী আর হরেক-রকম খেলনা ।
           ছোট্ট ছেলে চেঁচিয়ে বলে, কিনবে  না-কি,  খেলনা    ।।

              রাস্তা দিয়ে চলছে মানুষ, পড়েছে কোট – টাই        ।
              সবার মাঝে চলছে হেঁটে, আমার খোকন ভাই       ।।
      চলছে সাহেব, চলছে মেম্, ড্রেস পোষাকের নেই কো খুঁত   ।
              ও’কে দেখে বলছে সবাই, ঠিক যেন গেঁয়ো-ভূত      ।।
              যে যাই-বলুক, খোকার তখন একটাই চিন্তা           ।
              কিছুই যদি বিক্রী না হয়, চলবে কেমন দিনটা        ।।


             ছোট্ট খোকা তাকিয়ে দে’খে, বি-শা-ল বড়ো বাড়ী    ।
             ভাবলো মনে, এবার যদি বিক্রী হয় কিছু,
             কিনবে নাকি – খেলনা, আম, জাম এবং লিচু       ।।

                 তাদের আবার মনটা ভরা ভীষণ খুঁতখুঁত          ।
          ভাবলো মনে, কী - যে – হবে, চোর, ডাকাত না ভূত ।।
                আবার খোকা হাঁটতে লাগে গলির পরে গলি      ।
                ভাবছে খোকা, কখন আমার ঝুড়িটা হবে খালি   ।।

               মনেতে খোকার প্রশ্ন আর চোখেতে জল ব’য়      ।
               গরীব বলে, আমার জিনিস দেরীতে বিক্রী হয়  ! ।।
              এরাই তো সব এমন জিনিস কেনে শপিং মলে      ।
         তাহলে আমার দোষটা কোথায় ?, গরীব আমি বলে ? ।।

       হতাশ খোকন অভিমানেতে এক,দুই-পা যেই এগোলো  ।
            বস্তি থেকে, খোকন -, কে যেন এক ডাকলো        ।।
         পেছন ফিরে, বলল খোকা – কিনবে নাকি খেলনা      ।
   বলল ,খোকা -, ওই-টা দেখা, ও-ই হলুদ রংয়ের দোলনা  ।।
          এক, দুই, তিন, চার করে লোকেরা ভীড় করলো       ।
          আস্তে আস্তে খোকার জিনিস সব-ই ওরা কিনলো      ।।

          তখন খোকার ঝুড়ি হালকা, হাতেতে টাকার ভার       ।
            এখনও কিন্তু খোকার মনে শূন্য অহংকার             ।।
          আনন্দেতে খোকন তখন বলল ডেকে ডেকে ..............            
                “রাখে – হরি – মারে – কে  -------"           ।