শঙ্খধ্বনি উঠল বেজে , পড়ল উলু শত
           ফুটল শত আলোক রেণু  , ঘুচলো আঁধার যত ।
             জন্মিল এক দেবশিশু , মায়ের ছোট্টো বিলে
           দেব-দর্শন করতে গেল, গাঁয়ের সবাই মিলে ।

           সে - যেন এক নর-দেব , কি মায়া-ময় চাউনি
         সে-ই তো এল দিতে মোদের - সবার মাথায় ছাউনি ।
               পিতা ছিলেন আইনজীবি – বিশ্বনাথ দত্ত
               সপ্তর্ষির একটি ঋষির, আবাস হল মর্ত্য ।
               ভুবন জয়ী মাতা তার ভুবনেশ্বরী দেবী
               সপ্তর্ষীর মহিমা তিনি জেনেছিলেন সব-ই ।

         ধরাধামের নরেন হলেন , মোদের পথ প্রদর্শক
           আমরা সবাই ওনার পথের ,নীরব দর্শক ।
       লেখাপড়া তার ধাতে পড়ে না, পাঠশালা নয় ভাল
       তাহার জ্ঞান হইল অপার ,  করলো জগৎ আলো ।
         শিকাগো শহর পেল তার জ্ঞানের কিছু নুড়ি
         বিশ্ব মোদের বটবৃক্ষ – তুমিই তাহার গুঁড়ি  ।
                        


           রামকৃষ্ণ হইল গুরু তোমার জীবনকালে
         জ্ঞানের দীপক হইল প্রখর গুরুর আশীষবলে ।                                            
         তোমার হাতে দিলেন তিনি জগৎ ঘরের চাবি
         বন্ধ তালার মরচে তুলে , খুললে-তো সে-সবই ।
         গেরুয়া বসন ধারণ করে , আনলে জীবন-ছন্দ  
         চলার পথে তোমায় নমি – হে , বিবেকানন্দ ।
         মার্গারেট তোমার জন্য হইল নিবেদিতা
         সবার ত্বরে হইলে স্বামী , মার্গ দর্শন দাতা ।

         তাইতো বলি তোমার ত্বরে – কোথা আছ যুব বীর
             আশীষ দিয়ে মোদের সবার দৃষ্টি কর স্থির ।
             ধৈর্য্য দাও – বীর্য দাও, দাও-হে শত শক্তি  
             জ্ঞান দাও সাগর সম, দাও হে – প্রভু ভক্তি ।
         তোমার বাণী বাজছে  আজ-ও, এই ধরণীর পরে
         মোদের তুমি দাও হে স্থান – তোমার আশীষ ঘরে ।

          সত্য আজি মরীচিকা ন্যয় , শত মিথ্যার পরে
           দাও হে শক্তি, মোদের ভক্তি অন্যায় দূরীবারে                    
           ভেঙে দাও হে, সকল দ্বেষ , সকল দ্বিধা – দ্বন্দ
           সবার প্রাণে উচ্চারিও তোমার জীবন-মন্ত্র …………

                          
“সত্যের জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায়, কিন্তু কোন কিছুর জন্য  
                   সত্যকে ত্যাগ করা যায় না”

                
           আজি এ-ক্ষণে তোমারে স্মরিয়া মন মোর নির্ভীক
           অবশেষে মোর প্রণাম লহ – হে শ্রেষ্ঠ পথিকৃত  ।