রাজপথে যখন নেমেছিলাম
তখন বুলেট বিধবে বুকে বিন্দুমাত্রও সে ভয় ছিল না
আর এখন তোমাকে ভালোবাসার পর
ভয়, সংশয় কিংবা দ্বিধার তো কোন প্রশ্নই উঠে না।

প্রিয়তমা , এই যে দেখছো আমার চোখে জল
এ জল ব্যথিত হৃদয়ের প্রস্ফুটিত কান্নার লোনা জল নয়
এ জলের কারন পুলিশ নিক্ষেপিত অভিশপ্ত টিয়ারশেল।
এই যে দেখছো আমার হাতে-পায়ে, পেটে-পিঠে,
মগজে লাল রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন
না, না এবার আমাকে কোন বেপরোয়া যান চুমু খায় নি
এই ক্ষত পোষা পুলিশ ও হায়েনাদের অশেষ দান!

এই যে দেখছো সাদা, আকাশী, নীল রংয়ের ইউনিফর্ম পরিহিত
কিশোর-কিশোরীগুলো যারা গাড়ি এবং পুলিশ ভ্যান থামিয়ে দিচ্ছে
তারা কিন্তু লিফট চাচ্ছে না; তারা আসলে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করছে
ওদের মাঝে কেউ কেউ বলছে, "রাস্ট্র মেরামতের কাজ চলছে"
আমি বিস্ময়াভূত হয়ে ভাবি হয়তো এদের মধ্যে থেকেই একদিন
শুনতে পাবো মুজিব, চে ও ক্যাস্ত্রোর কণ্ঠ
কিংবা খুঁজে পাবো রাবেয়া, কুরী ও তেরেসার মতো মহিয়সীদের।

হে প্রেয়সী, আমি তোমাকে ততটা-ই ভালোবাসি যতটা ভালোবেসেছি বিপ্লবকে
আমি তোমাকে ততটাই চাই; যতটা চেয়েছি বিপ্লবকে
তোমার প্রতি এ ভালোবাসা আমাকে করেছে আরো বিপ্লবী, বিদ্রোহী
এখন আমার শিরা-উপশিরার প্রতিটি রক্তবিন্দু বলে
'বিপ্লবের জয় হোক, জয় হোক ভালোবাসার"।

প্রিয়তমা, রাজপথে আমার মৃত্যু হলে তুমি চোখের জল ফেলো না
এ জলে কখনো যেমন শ্যাওলা পড়বে না তেমনি
সে জলের মূল্য দিতে ওদের টনক ও নড়বে না
তারচেয়ে তুমি বরং তোমার অনাগত সন্তানের নাম রেখো 'বিপ্লব'।

শাহ্জাদা আল-হাবীব
১৫.০৮.২০১৮