ও মশাই, এদিক সেদিক যাচ্ছেন কোথায়? শুনে যান
ধর্মের সুড়সুড়ি দিলে তো আনন্দে উৎফুল্লে বেশ খান।
খান, পেটে দু’ মুঠো ভাত না জুটলেও বোধ হয় চলবে,
ধর্মের সুড়সুড়ি জুটলে সেনিয়ে কেউ কখনো ভাববে?
হয়তো ঠিক তাই, বহু লোকের তো অন্য ভাবনা নাই
ধর্মের সুড়সুড়ি হলেই হলো, আর কিছুতেই চিন্তা নাই।
শুনে যান, ভোটের বাদ্যি বাজছে, এখন ভালো সময়
ভোটের হাওয়াও লাগছে ভোটারদের গায়ে বোধ হয়।
ফুরফুরে হাওয়া, ধর্মের সুড়সুড়ি খেতে অনেকে তৈরি
সারাদিন সেটি খেয়েই আনন্দে দিচ্ছে বেশ গড়াগড়ি।
ওই যে দেখছেন ক’জন এ দিকেই আসছে সদলবলে
মুখ বাজিয়ে ধর্মের সুড়সুড়ি দিতে তৈরি তারা সকলে।
একদম ফ্রিতে পাবেন, একটু আধটুকু না খেলে চলে?
ক্লান্তিহরা, খেলেই নাকি একেবারে চাঙ্গা, তারাই বলে।
তাই নাকি তাদের পিছনেই ছুটছে অনেক লোকজন
ধর্মের সুড়সুড়ি খেলে বাদবাকি কিছুর নেই প্রয়োজন।
শুনুন মশাই, সেটি ফ্রিতে পাচ্ছেন যখন খান পেট ভরে
বোধ হয় আবারো ফ্রিতে পাবেন না আর ভোটের পরে।
ভরপেট খেয়ে ভোটকেন্দ্রে নিজের ভোটটা দিয়ে আসুন
ভোট মিটলে দেখবেন পান্তাভাতেও জুটছেনা আর নুন।